আলিপুরদুয়ার, 22 জুন: ভস্মীভূত হলং বন বাংলো পরিদর্শন করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী ৷ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর শনিবার জলদাপাড়া পৌঁছলেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ৷ গত মঙ্গলবার, 18 জুন রাতে বিধ্বংসী আগুনের ভস্মীভূত হয়ে যায় আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের হলং বন বাংলো, যা রাজ্য পর্যটনের অন্যতম ঐতিহ্যও ।
গত মঙ্গলবার রাত ন'টা নাগাদ আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে যায় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ঐতিহ্যবাহী হলং বন বাংলো ৷ এক ঘণ্টার মধ্যেই কার্যত ধ্বংস হয়ে যায় বাংলোটি ৷ আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এই হলং বন বাংলোটি স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বদের স্মৃতি বিজরিত। পর্যটক থেকে শুরু করে পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি ফের নতুন করে তৈরি করা হোক হলং বাংলোটি। জানা যাচ্ছে, 1967 সালে এই বাংলোটি তৈরি হয়েছিল একটি ইনস্পেকশন বাংলো হিসেবে ৷
নয়ের দশকে এই ইনস্পেকশন বাংলোকে রূপান্তরিত করা হয় পর্যটন বাংলোয় ৷ তারপর থেকেই দেশি বিদেশি নানা পর্যটকদের মধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান পায় এই হলং বাংলো ৷ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়েরও অতি প্রিয় ছিল এই হলং বাংলো ৷ একান্ত নিরিবিলিতে বাংলোর রুমে বসে চা খেতে খেতে বন্যজন্তু দেখাই ছিল এই বাংলোর মূল আকর্ষণ ৷ সেই আকর্ষণই এবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল রাজ্যের পর্যটনের মানচিত্র থেকে ৷
এই বিষয়ে উল্লেখ্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটার একদিন পর আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা পরিদর্শন করতে এলে তাঁকে জলদাপাড়া গেটে আটকে দেওয়া হয় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি ৷ এদিন মন্ত্রীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "বিধায়ককে আমি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছি সাংসদ বললে তাঁকেও নিয়ে যেতাম ৷" একই সঙ্গে মন্ত্রী এও জানান, শর্ট সার্কিট থেকেই বাংলোয় আগুন লেগে থাকতে পারে ৷ যদিও সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ বলেই জানান মন্ত্রী ৷