চন্দ্রকোনা, 18 সেপ্টেম্বর: একদিকে টানা বৃষ্টিতে এলাকা প্লাবিত হয়ে জল ঢুকেছে ঘরবাড়িতে ৷ গৃহহীন বহু মানুষ । তার পাশাপাশি গত 4-5 দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই এলাকায় । যার ফলে পানীয় জলের হাহাকার তীব্র হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার চার-পাঁচটি গ্রামে । বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ৷ শেষে রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা ।
আন্দোলনকারী স্থানীয় বাসিন্দা সুমিত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, "টানা বৃষ্টির জলে একদিকে বাড়ি-ঘর ডুবেছে ৷ গোদের ওপর বিষফোঁড়া চন্দ্রকোনাতে দু'দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই ৷ এর ফলে সাবমার্সেবল পাম্প চালানো যাচ্ছে না ৷ এমনকি নেই পানীয় জল । আমাদের শেষে বন্যার জলে কাজ চালাতে হচ্ছে ৷ এই ঘটনার কথা একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷ কাজের কাজ কিছু হয়নি ৷ তাই বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি । আমাদের দাবি না-মানা হলে অবরোধ চলবে ৷"
এই ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ যানজট হয় চন্দ্রকোনা 1 নম্বর ব্লকের বাঁকা এলাকায় । রাজ্য সড়কে সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ । পুলিশ আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা ৷ এরপরেই স্বাভাবিক হয় যান চলাচল ।
উল্লেখ্য, ফি বছর বর্ষার জলে প্লাবিত হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ব্লকের একাধিক এলাকা । শুধু চন্দ্রকোনা নয়, তার সঙ্গে ঘাটাল, দাসপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক গ্রামের মানুষের ঘরবাড়ি চলে যায় জলের তলায় । এবার তার অন্যথা হয়নি ৷ টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন একাধিক এলাকা ৷ বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন ঘাটালের তারকা সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেব । তিনি এই নিয়ে জরুরি বৈঠকও করেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ৷ এরপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ ।