পাণ্ডুয়া, 10 ফ্রেব্রুরারি: মামার এয়ার গান নিয়ে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হল পাঁচ বছরের শিশু কন্যার। নাম জুমানা হায়াত ৷ বাড়ি পান্ডুয়ার দে পাড়ায় ৷ জানা গিয়েছে, বিকেলে মামার এয়ার গান নিয়ে খেলতে গিয়ে তার বুকে গুলি লাগে। সেখানেই সংজ্ঞাহীন হয়ে যায় সে। প্রথমে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পান্ডুয়া গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায় । পরে সেখান থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুর বাবা জামশেদ আলি পান্ডুয়া থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার। শনিবার তাঁর পাঁচ বছরের শিশু কন্যা জুমানা খেলতে গিয়েছিল মামার বাড়িতে। কিছুটা দূরেই মামার বাড়ি। মাঝে মধ্যেই সে খেলতে যেত সেখানে। এদিন বিকেলেও সেখানে গিয়েছিল সে। খেলা করতে করতে মামা সাইফার রহমানের একটি এয়ার বন্দুক পরে থাকতে দেখে সে। সেটা নিয়ে খেলতে শুরু করে মেয়েটি। পরিবার সূত্রে খবর, তার সঙ্গে এদিন পরিবারের বড় কেউ ছিল না ৷ সে সম্ভবত বুঝতে পারেনি এয়ার বন্দুকে গুলিও ছিল।
বন্দুকের ট্রিগারে চাপ দিতেই গুলি লাগে তার দেহে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় শিশুটি। মামার বাড়ির লোকজন বন্দুকের আওয়াজে ছুটে আসে। এরপর চিকিৎসার জন্য ওই শিশুটিকে নিয়ে প্রথমে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল যান পরিবারের লোকরা। পরে নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে। সেখান চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
আহত শিশুর জেঠিমা রেশমা সুলতানা বলেন, "শিশুটি খুব চঞ্চল। ও তখনই সবে মামার বাড়ি গিয়েছিল। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে। মামার পাখি মারা বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে বুকে লাগে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে। আমার গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কী করে হল সেটা বলতে পারব না।"
আরও পড়ুন
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মুরারই থানার ওসি, মৃত গাড়িচালক
রেল পুলিশের সাহায্যে তামিল গৃহবধূ ফিরল পরিবারে, খুশির হাওয়া
নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ-খুন, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের