নয়াদিল্লি, 23 জুন: শুরু হচ্ছে লোকসভার অধিবেশন ৷ 24 জুন, সোমবার থেকে শুরু হবে অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন ৷ এই অধিবেশনেই শপথ নেবেন সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদরা ৷ সেইসঙ্গে এই অধিবেশনে নির্বাচিত হবেন নব গঠিত লোকসভার স্পিকার ৷ তবে সূত্রের খবর, প্রথম দিনের কর্মসূচিতেই সরাসরি বিজেপির সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ।
সংসদের অধিবেশনে প্রো-টেম স্পিকারের সহায়কের তালিকায় নাম ছিল লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের । কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত, তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে না । সূত্রের খবর, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটও । এমনকি, তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও সহায়ক পদের দায়িত্ব থেকে সরে আসতে ইচ্ছুক ইন্ডিয়া জোটের একাধিক নেতা ৷
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এই তালিকায় নাম রয়েছে কংগ্রেসের কে সুরেশ এবং ডিএমকে সাংসদ টি আর বালুরও । ইন্ডিয়া জোট যৌথভাবে এই দায়িত্ব পালন নাও করতে পারে বলে খবর । এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এবং ডিএমকে নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
তবে শুধুমাত্র প্রো-টেম স্পিকারের বিষয়ে নয় । শেয়ার বাজারের দুর্নীতি এবং নিট-নেট ইস্যুতেও এ রাজ্যের শাসক শিবির সংসদের ভিতরে এবং বাইরে সরব হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে । দলের এক সাংসদের কথায়, "দলনেত্রীর নির্দেশে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর সংসদের দুই কক্ষের ভিতরে এবং বাইরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে সরব হবেন তৃণমূল সাংসদরা ।" তিনি আরও জানিয়েছেন, দলনেত্রীর নির্দেশ শরিকি দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ শুরু করতে হবে ।
ইতিমধ্যেই এই শেয়ার কেলেঙ্কারি ইস্যুতে নয়াদিল্লির সেবি'র দফতরে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস । শরদ পাওয়ারের দলের সঙ্গেও আলাদা করে বৈঠক করেছে ঘাসফুল শিবির ৷ এই বিষয়ে আইনি পথে হাঁটার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী । পাশাপাশি, এনআরসি-সিএএ নিয়ে আরও একবার সুর চড়াতে দেখা যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের ।
গত শুক্রবার তিন ফৌজদারি আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী । সংসদের ভিতরে এই নিয়েও সরব হবে তৃণমূল বলে জানা গিয়েছে । দীর্ঘদিন ধরে বাংলাকে বঞ্চনা এবং বাংলার নাম বদল নিয়েও সরব হতে চলেছেন তৃণমূলের সাংসদরা ৷ রবিবার এই প্রসঙ্গে বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, "আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক । দলনেত্রী যেভাবে আমাদের নির্দেশ দেবেন দিল্লিতে সেভাবেই আমরা সরব হব । এবার দিল্লিতে আমাদের সাংসদেরা চুপ করে বসে থাকতে যাচ্ছে না । শুরু থেকেই মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদ করব আমরা।"