কলকাতা, 28 মার্চ: গার্ডেনরিচে বাড়ি ভাঙা প্রসঙ্গেই মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মেয়রের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত আলোচনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ৷ তা নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ বৃহস্পতিবার একটি ইফতার মজলিসে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ৷ সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁকে বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন। সেখানেই বিচারপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন ফিরহাদ ।
প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে বাড়ি ভাঙা নিয়ে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় । মেয়রকে ফোন করেন তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "কীভাবে মেয়রের নজর এড়িয়ে বেআইনি বাড়ি তৈরি হচ্ছে শহর জুড়ে ৷" সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মেয়র বলেন, "বেআইনি বাড়ি ভাঙা নিয়ে আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে পৌরসভা। শীঘ্রই বেআইনি বাড়ি ভাঙ্গা হবে। বিশেষ করে সেই বাড়িগুলি আগে ভাঙা হবে যেখানে কোনও মানুষ থাকে না । আর যেখানে মানুষ রয়েছে সেখানে আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ করা হবে ।"
এদিন একইভাবে মেয়রকে কলকাতার বিপদজনক বাড়িগুলি নিয়ে মেয়র জানান, এই মুহূর্তে নির্বাচনের আদর্শ বিধি জারি হয়ে গিয়েছে । এখন কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার অর্থ নির্বাচনী বিধিভঙ্গ। এই প্রসঙ্গে তা বলার তা 9 জুন প্রেস কনফারেন্স করে তিনি বলবেন । এরপরই সাংবাদিকদের তরফ থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করা নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমি জানতাম না বিচারপতি গাঙ্গুলী প্রেস কনফারেন্স করছেন । আমার সঙ্গে ওনার খুব ভালো সম্পর্ক । তবে আমাদের ব্যক্তিগত কথাবার্তা কেন পাবলিক হলো সেটা বলতে পারব না। যেহেতু বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে আমাদের দেখা হয় আমিও আশা করিনি উনি বিষয়টাকে জনসমক্ষে নিয়ে আসবেন।"
এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম কে প্রশ্ন করা হয়েছিল পৌরসভা চাইলেই কি বেআইনি বাড়িগুলি ভেঙে দিতে পারে ৷ কী মনে করছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় । সেই পরিপ্রেক্ষিতেই মেয়র বলেন, "আমরা যা টিভিতে দেখি বাস্তবে করতে গেলে অনেক প্রতিবন্ধকতা আসে। আজই তার একটা ঝলক পাওয়া গেল। আইনশৃঙ্খলা এবং মানুষের বাসস্থান একটা সমস্যার বিষয়। সবদিক বিবেচনা করেই কাজ করতে হয়। আর সে কারণেই আমরা তাকিয়ে থাকি আদালতের দিকে।"
আরও পড়ুন: