কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি: জলযন্ত্রণা থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতে বাজেট পেশের পর বড় ঘোষণা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । তিনি জানান, 700 কোটি টাকা খরচ হবে পানীয় জল সরবরাহ পরিষেবা উন্নয়নে । আসন্ন লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে বাজেট পেশে নির্দিষ্ট করে পানীয় জল নিয়ে ঘোষণা করা হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
কাঠফাটা গরম নয়, কনকনে ঠান্ডায় সময়ও কলকাতার মেয়রকে নজিরবিহীন ভাবে শুনতে হয়েছে বহু এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার অভিযোগ । অভিযোগ যে সত্য সেটা অতীতে স্বীকার করেও নিয়েছেন তিনি । পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের দায়িত্ব তাঁর হাতেই । সামনেই গরমকাল আর তার মাঝেই চলবে লোকসভার ভোট । সব অঙ্ক মাথায় রেখেই এ দিন বড় ঘোষণা করলেন ফিরহাদ হাকিম ।
তিনি এ দিন নাগরিকদের জন্য ঘোষণা করলেন একগুচ্ছ প্রকল্প, যার খরচ পড়বে প্রায় 700 কোটি টাকা । সংযুক্ত এলাকা থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় এখনও আছে পানীয় জলের কষ্ট । বেশকিছু জায়গায় পরিশ্রুত পানীয় জল এখনও পৌঁছয়নি । তাই ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভর করতে হয় বাসিন্দাদের । গরম পড়লে কলকাতা পৌরনিগমের আধিকারিকরা পানীয় জলকষ্টের অভিযোগে জেরবার হন । তবে কনকনে শীতেও একাধিক অভিযোগ পেয়ে কার্যত হতবাক স্বয়ং মেয়র ।
এ দিন ফিরহাদ হাকিম বাজেট পেশের পর নিজেই কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, "সামনে ভীষণ গরম পড়বে । যদি কোনও জায়গায় পানীয় জলের কষ্ট হয়, সরাসরি আমাকে জানাবেন ।" এর পর তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, কলকাতা পৌরনিগমের ইতিহাসে এই প্রথম 700 কোটি টাকা পানীয় জলের কাজের জন্য বরাদ্দ করেছি । যাতে কলকাতার কোনও অংশের মানুষের পানীয় জল পেতে অসুবিধা না হয় ।"
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, কলকাতায় 700 কোটি টাকার কাজ হচ্ছে জল সরবরাহ বিভাগের । যার মধ্যে নতুন পাইপ, বুস্টিং সেন্টার, ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সবটাই আছে । ধাপা ও গড়িয়া ঢালাইব্রিজে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হচ্ছে ৷ 15-20টি বুস্টিং সেন্টার করা হচ্ছে । মহেশতলার দিকে আলাদা লাই হচ্ছে পানীয় জলের ।
পকেট ইমপ্রুভমেন্ট, লাইন জ্যাকেটিং-এর কাজও চলছে । যাদবপুর 34 বুস্টিং সেন্টার ও 15টি পাইপলাইনের কাজ করেছি । ঢালাই ব্রিজে 10 মিলিয়ন গ্যালন নতুন পানীয় জল উৎপাদন কেন্দ্র করা হচ্ছে । দু'বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে । ধাপায় 132 কোটি টাকা ও ঢালাই ব্রিজে আশি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে । টালিগঞ্জ যাদবপুরে কিছু বোরিং আছে ।
আরও পড়ুন: