ETV Bharat / state

অগ্নিকাণ্ড রুখতে তৎপর দমকল, বিশেষ অনুশীলন চম্পাহাটির বাজি ব্যবসায়ীদের - FIRE CRACKERS BUSINESSMEN

রাজ্যের অন্যতম বাজির বাজার হল বারুইপুরের চম্পাহাটির হাড়াল ৷ প্রায়শই এখানে দুর্ঘটনার খবর সামনে আসে ৷ তাই আগেভাগে সতর্কতা অবলম্বন দমকল বিভাগের ৷

Champahati Crackers market
ব্যবসায়ীদের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে অনুশীলন দিচ্ছেন দমকল কর্মীরা (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 29, 2024, 6:23 PM IST

বারুইপুর, 29 অক্টোবর: দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাজি ব্যবসায়ীদের বিশেষ অনুশীলন দিলেন দমকলের কর্মীরা । বাজি তৈরি ও বিক্রির জন্য প্রসিদ্ধ দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার বারুইপুরের চম্পাহাটির হাড়াল এলাকা ৷ এই এলাকায় কার্যত ঘরে ঘরে বাজি তৈরি হয় । তাই সেখানেই দমকলের তরফে দীপাবলি বা কালীপুজোর আগে বিশেষ তৎপরতা দেখা গেল ৷

বারুইপুর কেন্দ্রের দমকল আধিকারিক ভক্তিপ্রসাদ বিশ্বাস বলেন, "যদি হঠাৎ করে দোকানে আগুন লেগে যায়, তাহলে এক এক করে সমস্ত দোকান আগুনের গ্রাসে চলে আসবে । দোকানে যদি আগুন লেগে যায় ব্যবসায়ীরা তড়িঘড়ি কীভাবে সেই আগুন নেভাবে, সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজ ব্যবসায়ীদের একটি অনুশীলন দেওয়া হল । এই অনুশীলনে সকল ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন ৷ অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটলে প্রাথমিক পর্যায়ে কী করণীয়, এই ডেমো স্টেশনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সেটি শেখানো হল । এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনেকটাই সচেতন করা গিয়েছে ব্যবসায়ীদের ।"

চম্পাহাটির বাজি ব্যবসায়ীদের বিশেষ অনুশীলন দেওয়া হল (ইটিভি ভারত)

দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার অন্যতম বাজির বাজার বারুইপুরের চম্পাহাটির হাড়াল । প্রতিবছরই দীপাবলি বা কালীপুজো উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ক্রেতা ভিড় জমান এখানে । ব্যবসায়ীরা গত 11 মাস ধরে বিভিন্নরকম বাজি প্রস্তুত করেম এই এক মাসের অপেক্ষায় । কালীপুজো একেবারে দোরগোড়ায় ৷ ইতিমধ্যেই চম্পাহাটির হাড়াল এলাকায় তাই ক্রেতাদের তিল ধারণের জায়গা নেই ।

এখানে বাজি বিক্রির জন্য নির্ধারিত এলাকায় বেশকিছু স্থায়ী দোকান রয়েছে । পাশাপাশি, কালীপুজোর আগে রাস্তার দু’ধারে প্রচুর অস্থায়ী দোকানও বসে । রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা তো বটেই, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও ক্রেতারা আসেন এই এলাকায় বাজি কিনতে ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফে সবুজ বাজি তৈরির অনুমতি পেয়েছেন ওই এলাকার 22 জন বাজি প্রস্তুতকারক । পাশাপাশি, তামিলনাড়ুর শিবকাশী থেকেও এখানে প্রচুর সবুজ বাজির আমদানি হয় । স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, এলাকার দোকানগুলিতে শুধুমাত্র শংসাপত্রপ্রাপ্ত সবুজ বাজিই বিক্রি করা হচ্ছে । শব্দবাজির চাহিদা থাকলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে মান্যতা দিয়ে সেগুলি বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা ।

Champahati Crackers market
বাজি তৈরি ও বিক্রির জন্য প্রসিদ্ধ চম্পাহাটি (নিজস্ব ছবি)

তবে চম্পাহাটির হাড়াল এখন গমগম করছে ক্রেতাদের ভিড়ে । এই পরিস্থিতিতে যেকোনও ছোট একটি দুর্ঘটনা বিশাল বড় আকার নিতে পারে ৷ সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের গুনায় বাজির বাজারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে । এর ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় ওই এলাকায় । মধ্যপ্রদেশের মতোই বারুইপুরের চম্পাহাটিতে এমন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই জন্য দমকল বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ।

এই বিষয়ে বাজি ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র শঙ্কর মণ্ডল বলেন, "সরকারিভাবে শব্দবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ তারপর থেকে শব্দবাজি বিক্রি করা হচ্ছে না । শুধুমাত্র সবুজ পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রি করা হচ্ছে । সেই বাজি কিনতে ইতিমধ্যেই ক্রেতাদের ভিড় নেমেছে চম্পাহাটিতে ।"

এ বিষয়ে বাজি ব্যবসায়ী অর্জুন মণ্ডল বলেন, "আগে ক্রেতাদের মধ্যে কোনটা সবুজ বাজি এবং কোনটা সবুজ বাজি নয়, সেই নিয়ে একটা সমস্যা ছিল ৷ কিন্তু এখন সেটা কেটে গিয়েছে । আমরা প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর নানারকম সবুজ বাজি তৈরি করছি এবং আমাদের এই বাজারে পরিবেশবান্ধব বাজিই বিক্রি হচ্ছে । ক্রেতারা সেই পরিবেশবান্ধব বাজি কিনে নিয়ে ঘরে যাচ্ছে ।"

বারুইপুর, 29 অক্টোবর: দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাজি ব্যবসায়ীদের বিশেষ অনুশীলন দিলেন দমকলের কর্মীরা । বাজি তৈরি ও বিক্রির জন্য প্রসিদ্ধ দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার বারুইপুরের চম্পাহাটির হাড়াল এলাকা ৷ এই এলাকায় কার্যত ঘরে ঘরে বাজি তৈরি হয় । তাই সেখানেই দমকলের তরফে দীপাবলি বা কালীপুজোর আগে বিশেষ তৎপরতা দেখা গেল ৷

বারুইপুর কেন্দ্রের দমকল আধিকারিক ভক্তিপ্রসাদ বিশ্বাস বলেন, "যদি হঠাৎ করে দোকানে আগুন লেগে যায়, তাহলে এক এক করে সমস্ত দোকান আগুনের গ্রাসে চলে আসবে । দোকানে যদি আগুন লেগে যায় ব্যবসায়ীরা তড়িঘড়ি কীভাবে সেই আগুন নেভাবে, সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজ ব্যবসায়ীদের একটি অনুশীলন দেওয়া হল । এই অনুশীলনে সকল ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন ৷ অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটলে প্রাথমিক পর্যায়ে কী করণীয়, এই ডেমো স্টেশনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সেটি শেখানো হল । এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনেকটাই সচেতন করা গিয়েছে ব্যবসায়ীদের ।"

চম্পাহাটির বাজি ব্যবসায়ীদের বিশেষ অনুশীলন দেওয়া হল (ইটিভি ভারত)

দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার অন্যতম বাজির বাজার বারুইপুরের চম্পাহাটির হাড়াল । প্রতিবছরই দীপাবলি বা কালীপুজো উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ক্রেতা ভিড় জমান এখানে । ব্যবসায়ীরা গত 11 মাস ধরে বিভিন্নরকম বাজি প্রস্তুত করেম এই এক মাসের অপেক্ষায় । কালীপুজো একেবারে দোরগোড়ায় ৷ ইতিমধ্যেই চম্পাহাটির হাড়াল এলাকায় তাই ক্রেতাদের তিল ধারণের জায়গা নেই ।

এখানে বাজি বিক্রির জন্য নির্ধারিত এলাকায় বেশকিছু স্থায়ী দোকান রয়েছে । পাশাপাশি, কালীপুজোর আগে রাস্তার দু’ধারে প্রচুর অস্থায়ী দোকানও বসে । রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা তো বটেই, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও ক্রেতারা আসেন এই এলাকায় বাজি কিনতে ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফে সবুজ বাজি তৈরির অনুমতি পেয়েছেন ওই এলাকার 22 জন বাজি প্রস্তুতকারক । পাশাপাশি, তামিলনাড়ুর শিবকাশী থেকেও এখানে প্রচুর সবুজ বাজির আমদানি হয় । স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, এলাকার দোকানগুলিতে শুধুমাত্র শংসাপত্রপ্রাপ্ত সবুজ বাজিই বিক্রি করা হচ্ছে । শব্দবাজির চাহিদা থাকলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে মান্যতা দিয়ে সেগুলি বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা ।

Champahati Crackers market
বাজি তৈরি ও বিক্রির জন্য প্রসিদ্ধ চম্পাহাটি (নিজস্ব ছবি)

তবে চম্পাহাটির হাড়াল এখন গমগম করছে ক্রেতাদের ভিড়ে । এই পরিস্থিতিতে যেকোনও ছোট একটি দুর্ঘটনা বিশাল বড় আকার নিতে পারে ৷ সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের গুনায় বাজির বাজারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে । এর ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় ওই এলাকায় । মধ্যপ্রদেশের মতোই বারুইপুরের চম্পাহাটিতে এমন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই জন্য দমকল বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ।

এই বিষয়ে বাজি ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র শঙ্কর মণ্ডল বলেন, "সরকারিভাবে শব্দবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ তারপর থেকে শব্দবাজি বিক্রি করা হচ্ছে না । শুধুমাত্র সবুজ পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রি করা হচ্ছে । সেই বাজি কিনতে ইতিমধ্যেই ক্রেতাদের ভিড় নেমেছে চম্পাহাটিতে ।"

এ বিষয়ে বাজি ব্যবসায়ী অর্জুন মণ্ডল বলেন, "আগে ক্রেতাদের মধ্যে কোনটা সবুজ বাজি এবং কোনটা সবুজ বাজি নয়, সেই নিয়ে একটা সমস্যা ছিল ৷ কিন্তু এখন সেটা কেটে গিয়েছে । আমরা প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর নানারকম সবুজ বাজি তৈরি করছি এবং আমাদের এই বাজারে পরিবেশবান্ধব বাজিই বিক্রি হচ্ছে । ক্রেতারা সেই পরিবেশবান্ধব বাজি কিনে নিয়ে ঘরে যাচ্ছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.