চুঁচুড়া, 10 জুলাই: মাকে খুনের ঘটনায় সন্তানের সাক্ষীর ভিত্তিতে পিতাকে দোষী সাব্যস্ত করল চুঁচুড়া জেলা আদালত ৷ বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করবে আদালত ৷ দোষী ওই ব্যক্তি ধনেখালি থানার অন্তর্গত জামাইবাটি কাপগাছি গ্রামের বাসিন্দা শেখ নজিবুল। বুধবার 13 বছরের সন্তানের সাক্ষীর ভিত্তিতে আদালত তার বাবা নজিবুলকে দোষী সাব্যস্ত করে। দোষীর যাবজ্জীবন বা ফাঁসির সাজা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় ৷
বুধবার হুগলি জেলা আদালতের তৃতীয় অ্যাডিশনাল সেশন জজ কৌস্তব মুখোপাধ্যায় শেখ নাজিবুলকে দোষী সাব্যস্ত করেন ৷ জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের যাবজ্জীবন অথবা ফাঁসির সাজা অবশ্যম্ভাবী ৷ তিনি জানান, 2006 সালের বৈশাখ মাসে নাজিবুলের সঙ্গে বিয়ে হয় ধনেখালি চক-সুলতান গ্রামের সাবিনা বেগমের। তাদের দু'টি সন্তান, একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। অভিযোগ, বিয়ের কয়েক বছর পরে স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পরে নজিবুল ৷ এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল বলেও জানা যায় ।
আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত 2015 সালের 25 অগস্ট ৷ ওই দিন অশান্তি চরমে ওঠে ৷ তখন বড় ছেলে শেখ সাহিলের বয়স 6 বছর, মেয়ের বয়স 2 বছর ৷ জানা যায়, ওই দিন নাকি, রাতে বালিশ চাপা দিয়ে সাবিনা বেগমকে শ্বাস রোধ করে খুন করার চেষ্টা করে নজিবুল ৷ ছেলে-মেয়ে দু'জনই বাবাকে বাধা দিয়ে ব্যর্থ হয়। শ্বাস রোধ করে সাবিনাকে খুন করে নজিবুল। সাবিনার বাবা মতিহার রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিনই তাঁকে গ্রেফতার করে ধনেখালি থানার পুলিশ।
তদন্ত শেষ করে 2015 সালের 23 ডিসেম্বর 498/এ, 302, 201 আইপিসি ধারায় চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। 12 এপ্রিল 2022-এ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয় সাহিল, তখন তার বয়স 13 বছর। মোট 12 জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এই মামলায় বিশেষ উল্লেখ্য, আদালতে এসে সাবিনা বেগমের 13 বছরের ছেলে সাহিল সাক্ষী দেয়। পাশাপশি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণও দেয় সে ৷