মালদা, 23 ফেব্রুয়ারি: পারিবারিক বিবাদের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলের গলা কাটার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছেলের ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট সংলগ্ন খিড়িপাড়া গ্রামে ৷ খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে পাকুয়াহাট ফাঁড়ির পুলিশ ৷ আটক করা হয় বাবাকে ৷ শুক্রবার মালদা মেডিক্যালে ছেলের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ৷ অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম মাইকেল মুর্মু (29) ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাইকেলদের কিছু চাষের জমি রয়েছে ৷ এখন বোরো ধান চাষের মরশুমে প্রচুর জল প্রয়োজন ৷ পাম্পের জলেই মাইকেলদের জমিতে সেচ হয়েছে ৷ ক’দিন আগে পাম্পের ইলেকট্রিক বিল এসেছে ৷ সেই বিল ছেলেকে জমা দিতে বলেন বাবা রিন্টু মুর্মু ৷ কিন্তু মাইকেল বিলের পুরো টাকা দিতে অস্বীকার করেন ৷
এনিয়ে গতকাল রাতে বাবা-ছেলের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় ৷ অভিযোগ, বচসা চলাকালীনই ধারালো ছুরি দিয়ে ছেলের গলায় কোপ বসিয়ে দেন রিন্টু ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মাইকেলের ৷ পরিবার ও স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত বামনগোলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ তবে চিকিৎসকরা মাইকেলকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ এই ঘটনায় রাতেই রিন্টু মুর্মুর বিরুদ্ধে পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাইকেলের পরিবারের সদস্যরা ৷
মাইকেলদের এক আত্মীয় সুফল বেসরা বলেন, "ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রাত সাড়ে 10টা নাগাদ ৷ জমিতে জলের পাম্পের ইলেকট্রিক বিল মেটানো নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয় ৷ দু’জনের ঝামেলা একসময় চরম পর্যায়ে পৌঁছয় ৷ সেই সময় বাবা ধারালো ছুরি দিয়ে ছেলের গলা কেটে খুন করে ৷ খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে মুদিপুকুরে অবস্থিত বামনগোলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ কিন্তু ততক্ষণে ওঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ আজ ছেলের দেহ ময়নাতদন্তে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ বিষয়টি তেমন বড় ছিল না ৷ সামান্য বিষয় নিয়ে বাবা যে ছেলেকে খুন করবে, তা ভাবা যায়নি ৷ পুলিশ বাবাকে ধরে নিয়ে গিয়েছে ৷”
আরও পড়ুন: