ETV Bharat / state

মেয়ের মৃত্যুতে হাসপাতালের কেউ যুক্ত রয়েছে, সব লেখা আছে ডায়েরিতে: বিস্ফোরক আরজি করে নির্যাতিতার বাবা - RG Kar Doctor Rape and Murder

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 17, 2024, 6:35 PM IST

Victims Family Statement of RG Kar Incident: মেয়ের মৃত্যুতে অনেকের হাত রয়েছে ৷ জড়িত পুরো চেস্ট ডিপার্টমেন্ট ৷ এরকম একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা ৷ তাঁদের দাবি, এই রহস্যমৃত্যুর পিছনে একটা বড় চক্র রয়েছে ৷

RG Kar MCH
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (Etv Bharat)

ব‍্যারাকপুর, 17 অগস্ট: মেয়ের রহস্যমৃত্যু নিয়ে শনিবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা ৷ এদিন দুপুরে সোদপুরে বাড়ির সামনে সংবাদমাধ‍্যমের মুখোমুখি হয়ে মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা ৷

এদিন নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন,"মেয়েকে হাসপাতালের অন‍্য কোনও ঘরে খুন করে দেহ সেমিনার হলে ফেলে রেখে যাওয়া হয়নি, তা কে বলতে পারে ? মেয়েকে অন্য কোথাও খুন করা হয়ে থাকতে পারে । সে কারণেই হয়তো তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা হচ্ছিল । মেয়ের মৃত্যুর পিছনে হাসপাতালের গোটা চেস্ট ডিপার্টমেন্টকেই দায়ী করছি আমরা । কারণ, তাঁদের গাফিলতি ছাড়া এই ঘটনা ঘটতে পারে না । হাসপাতালের ভিতরের কেউ জড়িত রয়েছে । এর পিছনে বড় কোনও চক্রের হাত রয়েছে ৷"

মৃতের মায়ের কথায়, "প্রথম থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি । মেয়ের মৃত্যুর জন্য এতটুকু সহানুভূতি দেখায়নি তাঁরা ৷ উলটে, ঘটনার দিন আরজি করের অধ‍্যক্ষ বলেন, দেখা করতে হলে আমার ঘরে আসতে হবে । মেয়ের মৃত্যু হয়েছে তাও 8 থেকে 9 দিন হয়ে গেল । এর মধ্যে হাসপাতালের কেউই আমাদের সঙ্গে একবারও যোগাযোগ করেনি । কথা পর্যন্ত বলেনি । আমার বাড়িতে ফরেন্সিকের অনেক ডাক্তার এসেছেন ৷ আমিও যেটুকু মেয়েকে দেখেছি তাতে আমারও মনে হয়েছে এই ঘটনা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় ৷ তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে মেয়ের দেহ দেখার জন্য । তার আগে বারবার পুলিশকে অনুরোধ করেছি, পায়ে ধরেছি ৷ বলেছিলাম যে অবস্থায় মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে সেই অবস্থায় একবার মেয়ের মুখ দেখেই চলে আসব । স্পর্শ পর্যন্ত করব না । তা সত্ত্বেও মেয়ের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি । তদন্ত চলছে বলে, সেখানে যাওয়া যাবে না বলে জানায় পুলিশ ৷"

এই বিষয়গুলো মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন আপনারা ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন,"মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা সবটাই জানিয়েছি । তখন উনি পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশ্যে বলেন, এই সমস্ত বিষয়গুলি তোমরা কেন দেখছ না ? উনি আমাদের বাড়ি এসে জানিয়েছিলেন মূল দোষী তো ধরা পড়ে গিয়েছে । তার প্রত্যুত্তরে মুখ্যমন্ত্রীকে আমি জানাই, আপনি যাকে দোষী ভাবছেন সে দোষী নাও হতে পারে । ভিতরের কেউ জড়িত না থাকলে সে কীভাবে জানতে পারল আমার মেয়ে ঘটনার দিন রাতে সেমিনার হলে রয়েছে ? তখন মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবিকে সমর্থন করেন । এখনও আমরা বলছি, এর পিছনে হাসপাতালের ভিতরের কেউ যুক্ত রয়েছে ।"

এদিকে, কর্মস্থলে যেতে মেয়ের অনীহা ছিল বলেও এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন নিহত চিকিৎসকের মা । তাঁর কথায়,"মেয়ে বলত আরজি কর হাসপাতালে আর যেতে ভালো লাগে না । কারণ জিজ্ঞাসা করলেই ও বলত ওখানে চিকিৎসা সংক্রান্ত যা শেখার তা আমার শেখা হয়ে গিয়েছে ।এখন শুধু যাই কাজ করি আর চলে আসি ।"

অন‍্যদিকে, আরজি কর হাসপাতাল-কাণ্ডে এদিন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন,"আরজি কর হাসপাতালের ভিতরে নিশ্চিয় অবৈধ কোনও কাজকর্ম হত । মেয়ের মৃত্যুর পিছনে হাসপাতালের বড় কোনও চক্রের হাত রয়েছে । সেটা আপনারা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন । হাসপাতালের ভিতরের অনেক কিছুই মেয়ে নিজের ডায়েরিতে লিখে রাখত ।" তবে, কোন চক্রের দিকে তিনি ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন সেই বিষয়ে খোলসা করে কিছুই জানাতে রাজি হননি এদিন ।

ব‍্যারাকপুর, 17 অগস্ট: মেয়ের রহস্যমৃত্যু নিয়ে শনিবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা ৷ এদিন দুপুরে সোদপুরে বাড়ির সামনে সংবাদমাধ‍্যমের মুখোমুখি হয়ে মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা ৷

এদিন নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন,"মেয়েকে হাসপাতালের অন‍্য কোনও ঘরে খুন করে দেহ সেমিনার হলে ফেলে রেখে যাওয়া হয়নি, তা কে বলতে পারে ? মেয়েকে অন্য কোথাও খুন করা হয়ে থাকতে পারে । সে কারণেই হয়তো তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা হচ্ছিল । মেয়ের মৃত্যুর পিছনে হাসপাতালের গোটা চেস্ট ডিপার্টমেন্টকেই দায়ী করছি আমরা । কারণ, তাঁদের গাফিলতি ছাড়া এই ঘটনা ঘটতে পারে না । হাসপাতালের ভিতরের কেউ জড়িত রয়েছে । এর পিছনে বড় কোনও চক্রের হাত রয়েছে ৷"

মৃতের মায়ের কথায়, "প্রথম থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি । মেয়ের মৃত্যুর জন্য এতটুকু সহানুভূতি দেখায়নি তাঁরা ৷ উলটে, ঘটনার দিন আরজি করের অধ‍্যক্ষ বলেন, দেখা করতে হলে আমার ঘরে আসতে হবে । মেয়ের মৃত্যু হয়েছে তাও 8 থেকে 9 দিন হয়ে গেল । এর মধ্যে হাসপাতালের কেউই আমাদের সঙ্গে একবারও যোগাযোগ করেনি । কথা পর্যন্ত বলেনি । আমার বাড়িতে ফরেন্সিকের অনেক ডাক্তার এসেছেন ৷ আমিও যেটুকু মেয়েকে দেখেছি তাতে আমারও মনে হয়েছে এই ঘটনা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় ৷ তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে মেয়ের দেহ দেখার জন্য । তার আগে বারবার পুলিশকে অনুরোধ করেছি, পায়ে ধরেছি ৷ বলেছিলাম যে অবস্থায় মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে সেই অবস্থায় একবার মেয়ের মুখ দেখেই চলে আসব । স্পর্শ পর্যন্ত করব না । তা সত্ত্বেও মেয়ের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি । তদন্ত চলছে বলে, সেখানে যাওয়া যাবে না বলে জানায় পুলিশ ৷"

এই বিষয়গুলো মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন আপনারা ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন,"মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা সবটাই জানিয়েছি । তখন উনি পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশ্যে বলেন, এই সমস্ত বিষয়গুলি তোমরা কেন দেখছ না ? উনি আমাদের বাড়ি এসে জানিয়েছিলেন মূল দোষী তো ধরা পড়ে গিয়েছে । তার প্রত্যুত্তরে মুখ্যমন্ত্রীকে আমি জানাই, আপনি যাকে দোষী ভাবছেন সে দোষী নাও হতে পারে । ভিতরের কেউ জড়িত না থাকলে সে কীভাবে জানতে পারল আমার মেয়ে ঘটনার দিন রাতে সেমিনার হলে রয়েছে ? তখন মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবিকে সমর্থন করেন । এখনও আমরা বলছি, এর পিছনে হাসপাতালের ভিতরের কেউ যুক্ত রয়েছে ।"

এদিকে, কর্মস্থলে যেতে মেয়ের অনীহা ছিল বলেও এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন নিহত চিকিৎসকের মা । তাঁর কথায়,"মেয়ে বলত আরজি কর হাসপাতালে আর যেতে ভালো লাগে না । কারণ জিজ্ঞাসা করলেই ও বলত ওখানে চিকিৎসা সংক্রান্ত যা শেখার তা আমার শেখা হয়ে গিয়েছে ।এখন শুধু যাই কাজ করি আর চলে আসি ।"

অন‍্যদিকে, আরজি কর হাসপাতাল-কাণ্ডে এদিন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন,"আরজি কর হাসপাতালের ভিতরে নিশ্চিয় অবৈধ কোনও কাজকর্ম হত । মেয়ের মৃত্যুর পিছনে হাসপাতালের বড় কোনও চক্রের হাত রয়েছে । সেটা আপনারা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন । হাসপাতালের ভিতরের অনেক কিছুই মেয়ে নিজের ডায়েরিতে লিখে রাখত ।" তবে, কোন চক্রের দিকে তিনি ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন সেই বিষয়ে খোলসা করে কিছুই জানাতে রাজি হননি এদিন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.