ETV Bharat / state

বর্ষায় যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে ছাদ, আতঙ্কে বন্ধ পরীক্ষা; ছুটি স্কুল - School Worn Out Condition

School Worn Out Condition: পচ্ছিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই অবস্থা আজকের নয়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে স্কুলে হয়নি কোনওরকম সংস্কারের কাজ ৷ যার ফলে ভগ্ন অবস্থায় পরিণত হয়েছে স্কুলটি ৷ একাধিকবার স্কুলের বিষয়ে উচ্চপদস্থ মহলে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার ।

School Worn Out Condition
স্কুলের বেহাল দশার জেরে পরীক্ষা বন্ধ করে ছুটি স্কুলে (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 3, 2024, 6:39 PM IST

মুর্শিদাবাদ, 3 অগস্ট: রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি ৷ তাতে স্কুল বিল্ডিংয়ের ছাদ চুঁইয়ে পড়ছে জল ৷ বারান্দা ভরে গিয়েছে জলে ৷ ভগ্নদশা দেওয়ালগুলোর ৷ যে কোনও সময় তা ভেঙে পড়তে পারে ৷ পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে স্কুলের পরীক্ষা বন্ধ করে দিলেন প্রধান শিক্ষিকা ৷ পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠাতে বাধ্য হলেন তিনি । এমন ছবি ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের পচ্ছিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ।

স্কুলের জরাজীর্ণ অবস্থায় বন্ধ পরীক্ষা (ইটিভি ভারত)

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবি, দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে স্কুলের কোওনরকম কোন সংস্কার কাজ হয়নি । বর্তমানে স্কুলের বিল্ডিংয়ের অবস্থা ভয়াবহ ৷ যে কোনও সময় পড়ুয়াদের প্রাণহানির পর্যন্ত আশঙ্কা রয়েছে ৷ একাধিকবার সময় স্কুলের এই হালের বিষয়ে উচ্চপদস্থ মহলে জানানো হয়েছে । কিন্তু তারপরেও কোন সুরাহা মিলছে না ৷

প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না চট্টোপাধ্যায় বলেন,"বর্তমানে স্কুলের বিল্ডিংয়ের অবস্থা শোচনীয় ৷ বর্ষা নামতেই তা আরও খারাপ হয়েছে ৷ বর্তমানে স্কুলের বারান্দা আর ছাদ থেকে জল পড়ছে । ক্লাস রুমের ভিতরে ছাদের অবস্থাও ভালো না ৷ যে কোনও সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে ৷ এই আশঙ্কাতেই একাধিকবার দরবারের পর একটি বড় হল ঘর নতুন করে নির্মাণের জন্য অনুমোদন হয়েছে ৷ কিন্তু সেই কাজও মাঝ রাস্তাতেই আটকে গিয়েছে ৷"

প্রধান শিক্ষিকার কথায়, "লোকসভা নির্বাচনের আগে এই হল ঘরটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ৷ 12 লক্ষ টাকা ব্যয় হল ঘরটি নির্মাণের কথা ছিল ৷ কিন্তু কাজ শুরু হলেও ঘরটি ঢালাই হয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় বড়ঞা ব্লকের বিডিও ঠিকাদারকে বরাদ্দ অর্থ থেকে 2 লক্ষ টাকা কমিয়ে দেন ৷ এই কারণে এই হল ঘরটি অসম্পূর্ণ হয়েই রয়ে গিয়েছে। আর বর্তমানে বর্ষা নামতেই স্কুলে প্রায় ক্লাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসনিক আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা।"

মুর্শিদাবাদ, 3 অগস্ট: রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি ৷ তাতে স্কুল বিল্ডিংয়ের ছাদ চুঁইয়ে পড়ছে জল ৷ বারান্দা ভরে গিয়েছে জলে ৷ ভগ্নদশা দেওয়ালগুলোর ৷ যে কোনও সময় তা ভেঙে পড়তে পারে ৷ পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে স্কুলের পরীক্ষা বন্ধ করে দিলেন প্রধান শিক্ষিকা ৷ পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠাতে বাধ্য হলেন তিনি । এমন ছবি ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের পচ্ছিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ।

স্কুলের জরাজীর্ণ অবস্থায় বন্ধ পরীক্ষা (ইটিভি ভারত)

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবি, দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে স্কুলের কোওনরকম কোন সংস্কার কাজ হয়নি । বর্তমানে স্কুলের বিল্ডিংয়ের অবস্থা ভয়াবহ ৷ যে কোনও সময় পড়ুয়াদের প্রাণহানির পর্যন্ত আশঙ্কা রয়েছে ৷ একাধিকবার সময় স্কুলের এই হালের বিষয়ে উচ্চপদস্থ মহলে জানানো হয়েছে । কিন্তু তারপরেও কোন সুরাহা মিলছে না ৷

প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না চট্টোপাধ্যায় বলেন,"বর্তমানে স্কুলের বিল্ডিংয়ের অবস্থা শোচনীয় ৷ বর্ষা নামতেই তা আরও খারাপ হয়েছে ৷ বর্তমানে স্কুলের বারান্দা আর ছাদ থেকে জল পড়ছে । ক্লাস রুমের ভিতরে ছাদের অবস্থাও ভালো না ৷ যে কোনও সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে ৷ এই আশঙ্কাতেই একাধিকবার দরবারের পর একটি বড় হল ঘর নতুন করে নির্মাণের জন্য অনুমোদন হয়েছে ৷ কিন্তু সেই কাজও মাঝ রাস্তাতেই আটকে গিয়েছে ৷"

প্রধান শিক্ষিকার কথায়, "লোকসভা নির্বাচনের আগে এই হল ঘরটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ৷ 12 লক্ষ টাকা ব্যয় হল ঘরটি নির্মাণের কথা ছিল ৷ কিন্তু কাজ শুরু হলেও ঘরটি ঢালাই হয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় বড়ঞা ব্লকের বিডিও ঠিকাদারকে বরাদ্দ অর্থ থেকে 2 লক্ষ টাকা কমিয়ে দেন ৷ এই কারণে এই হল ঘরটি অসম্পূর্ণ হয়েই রয়ে গিয়েছে। আর বর্তমানে বর্ষা নামতেই স্কুলে প্রায় ক্লাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসনিক আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.