দার্জিলিং, 9 ফেব্রুয়ারি: বাগডোগরা বিমানবন্দরে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ-সহ গ্রেফতার ভিনদেশের নাগরিক ৷ জানা গিয়েছে, ধৃত ভুটান সেনার প্রাক্তন কর্মী ৷ তাঁর নাম তাসি শেরিং ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বাগডোগরা থেকে চেন্নাইয়ের বিমান ধরার কথা ছিল তাঁর ৷ সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় সিআইএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, তাসি শেরিংয়ের কাছে বিনা-লাইসেন্সের একটি পিস্তল ও একে-47 এর পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে ৷ আজ তাঁকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, তাসিং শেরিংকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, তিনি ভুটান সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ৷ গাড়িতে শিলিগুড়ি পৌঁছে, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় চেন্নাইয়ের বিমান ধরার কথা ছিল ৷ আর সেখান থেকে কুয়েতের বিমানে উঠতেন তিনি ৷ কুয়েত বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন তিনি ৷ কিন্তু, বৃহস্পতিবার বাগডোগরা পৌঁছানোর পর সিকিউরিটি চেকিংয়ে তাসি শেরিংয়ের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও 5 রাউন্ড একে-47 রাউফেলের কার্তুজ উদ্ধার হয় ৷ খবর পেয়ে দ্রুত সিকিউরিটি চেকিং এলাকায় পৌঁছে যায় সিআইএসএফের বাহিনী ৷ শেরিংকে সেখান থেকে আটক করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় ৷ শুরু হয় জেরা ৷
তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কী করে এল ? এমনকী একে-47 এর কার্তুজ তাঁর কাছে কেন ? এমন একাধিক প্রশ্ন করা হয় শেরিংকে ৷ সেখানেই শেরিং জানান, তিনি ভুটান সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ৷ কিন্তু, একজন বিদেশি হয়ে কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করছেন তিনি ? তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেখতে চান আধিকারিকরা ৷ কিন্তু, তাও দেখাতে পারেননি তাসি শেরিং ৷ এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ এই ঘটনায় বিমানবন্দরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে ৷ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ৷ প্রত্যেক যাত্রীর একাধিকবার তল্লাশি চলে ৷ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ভারতের ভুটান হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এ নিয়ে ৷
আরও পড়ুন: