কলকাতা, 1 মে: শহরে প্রত্যেকদিন নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে তাপমাত্রা ৷ রাজ্যের 8 জেলায় চলছে তাপপ্রবাহের দাপট ৷ তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা ৷ মঙ্গলবার রাজ্য বিদুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার ইতিহাসে প্রথমবার বিদ্যুতের চাহিদাও রেকর্ড তৈরি করেছে ৷ সোমবার রাত সাড়ে এগারোটায় রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল 10 হাজার 40 মেগাওয়াট ৷ এর আগে গত শনিবার রাজ্যে রেকর্ড বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হয়েছিল ৷ সেদিনের চাহিদা ছিল 9 হাজার 200 মেগাওয়াট ৷ স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সেই রেকর্ড ভেঙে গেল ৷
এদিকে আবহাওয়া দফতর স্পষ্ট জানিয়েছে, আগামী 4 তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই ৷ প্রবল দহন তাপের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমানতালে বিদ্যুতের জোগান দেওয়া কখনও কখনও সম্ভব হয়ে উঠছে না ৷ কোথাও কোথাও লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ কিন্তু এরই মাঝে সোমবার গত 70 বছরের রেকর্ড গড়ল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এবং সিইএসসি ৷
এই নিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, "স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুতের এত বিপুল চাহিদা অতীতে কখনও দেখা যায়নি ৷ 2023 সালের 16 জুন রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল 9 হাজার 120 মেগাওয়াট ৷ সেই রেকর্ড ভেঙে গত শনিবার বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হয়েছিল 9 হাজার 200 মেগা ওয়াট ৷ সোমবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গিয়েছে ৷ গতকাল আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন ছিল 10 হাজার 40 মেগাওয়াট এবং সিইএসসি-র চাহিদা ছিল 2 হাজার 686 মেগাওয়াট ৷"
তাপপ্রবাহের মধ্যে মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে এসি, কুলার ৷ তাই এমন সময়ে এই ধরনের চাহিদা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা ৷ ইতিমধ্যে বহু জায়গায় গরমের মধ্যে লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ তবে সেই অভিযোগ সামাল দিতে দিন-রাত কাজ করছে বিদ্যুৎ দফতর ৷
সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা রাত জেগে কাজ করছেন ৷ কিন্তু এই মুহূর্তে সমস্যা, বিভিন্ন এলাকায় এসি লাগানোর হিড়িক যেভাবে বেড়েছে, তাতে আচমকা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ৷ তাই কোথাও কোথাও প্রয়োজনে জেনারেটর লাগিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বিদ্যুৎ দফতর ৷ এই পরিস্থিতিতে লোডশেডিংয়ের ঘটনা পুরোপুরি শূন্য করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন: