ETV Bharat / state

সরকারি ও সিইএসসি বিদ্যুতের রেকর্ড চাহিদা, ভাঙল সাত দশকের নজির - Electricity demand records in WB

Electric Supply Demand: তাপপ্রবাহ চলছে রাজ্যের একাধিক জেলায় ৷ এদিকে প্রবল উত্তাপের হাত থেকে রেহাই পেতে ভরসা এসি ৷ সব মিলিয়ে তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের চাহিদাও ঊর্ধ্বমুখী ৷ এবার তা রেকর্ড স্পর্শ করল ৷

Electric Supply in West Bengal Sore high
গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী বিদ্যুতের চাহিদা
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 1, 2024, 7:27 PM IST

কলকাতা, 1 মে: শহরে প্রত্যেকদিন নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে তাপমাত্রা ৷ রাজ্যের 8 জেলায় চলছে তাপপ্রবাহের দাপট ৷ তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা ৷ মঙ্গলবার রাজ্য বিদুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার ইতিহাসে প্রথমবার বিদ্যুতের চাহিদাও রেকর্ড তৈরি করেছে ৷ সোমবার রাত সাড়ে এগারোটায় রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল 10 হাজার 40 মেগাওয়াট ৷ এর আগে গত শনিবার রাজ্যে রেকর্ড বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হয়েছিল ৷ সেদিনের চাহিদা ছিল 9 হাজার 200 মেগাওয়াট ৷ স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সেই রেকর্ড ভেঙে গেল ৷

এদিকে আবহাওয়া দফতর স্পষ্ট জানিয়েছে, আগামী 4 তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই ৷ প্রবল দহন তাপের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমানতালে বিদ্যুতের জোগান দেওয়া কখনও কখনও সম্ভব হয়ে উঠছে না ৷ কোথাও কোথাও লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ কিন্তু এরই মাঝে সোমবার গত 70 বছরের রেকর্ড গড়ল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এবং সিইএসসি ৷

এই নিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, "স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুতের এত বিপুল চাহিদা অতীতে কখনও দেখা যায়নি ৷ 2023 সালের 16 জুন রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল 9 হাজার 120 মেগাওয়াট ৷ সেই রেকর্ড ভেঙে গত শনিবার বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হয়েছিল 9 হাজার 200 মেগা ওয়াট ৷ সোমবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গিয়েছে ৷ গতকাল আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন ছিল 10 হাজার 40 মেগাওয়াট এবং সিইএসসি-র চাহিদা ছিল 2 হাজার 686 মেগাওয়াট ৷"

তাপপ্রবাহের মধ্যে মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে এসি, কুলার ৷ তাই এমন সময়ে এই ধরনের চাহিদা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা ৷ ইতিমধ্যে বহু জায়গায় গরমের মধ্যে লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ তবে সেই অভিযোগ সামাল দিতে দিন-রাত কাজ করছে বিদ্যুৎ দফতর ৷

সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা রাত জেগে কাজ করছেন ৷ কিন্তু এই মুহূর্তে সমস্যা, বিভিন্ন এলাকায় এসি লাগানোর হিড়িক যেভাবে বেড়েছে, তাতে আচমকা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ৷ তাই কোথাও কোথাও প্রয়োজনে জেনারেটর লাগিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বিদ্যুৎ দফতর ৷ এই পরিস্থিতিতে লোডশেডিংয়ের ঘটনা পুরোপুরি শূন্য করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা ৷

আরও পড়ুন:

  1. চাঁদিফাটা গরমে জেরবার রাজ্য ! ক'দিন চলবে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টির সম্ভাবনা কতদূর ?
  2. ভাঙল অর্ধশতকেরও বেশি সময়ের রেকর্ড! কলকাতা পৌঁছল 43 ডিগ্রিতে; বৃষ্টি নিয়েও স্বস্তির খবর

কলকাতা, 1 মে: শহরে প্রত্যেকদিন নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে তাপমাত্রা ৷ রাজ্যের 8 জেলায় চলছে তাপপ্রবাহের দাপট ৷ তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা ৷ মঙ্গলবার রাজ্য বিদুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার ইতিহাসে প্রথমবার বিদ্যুতের চাহিদাও রেকর্ড তৈরি করেছে ৷ সোমবার রাত সাড়ে এগারোটায় রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল 10 হাজার 40 মেগাওয়াট ৷ এর আগে গত শনিবার রাজ্যে রেকর্ড বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হয়েছিল ৷ সেদিনের চাহিদা ছিল 9 হাজার 200 মেগাওয়াট ৷ স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সেই রেকর্ড ভেঙে গেল ৷

এদিকে আবহাওয়া দফতর স্পষ্ট জানিয়েছে, আগামী 4 তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই ৷ প্রবল দহন তাপের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমানতালে বিদ্যুতের জোগান দেওয়া কখনও কখনও সম্ভব হয়ে উঠছে না ৷ কোথাও কোথাও লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ কিন্তু এরই মাঝে সোমবার গত 70 বছরের রেকর্ড গড়ল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এবং সিইএসসি ৷

এই নিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, "স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুতের এত বিপুল চাহিদা অতীতে কখনও দেখা যায়নি ৷ 2023 সালের 16 জুন রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল 9 হাজার 120 মেগাওয়াট ৷ সেই রেকর্ড ভেঙে গত শনিবার বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হয়েছিল 9 হাজার 200 মেগা ওয়াট ৷ সোমবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গিয়েছে ৷ গতকাল আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন ছিল 10 হাজার 40 মেগাওয়াট এবং সিইএসসি-র চাহিদা ছিল 2 হাজার 686 মেগাওয়াট ৷"

তাপপ্রবাহের মধ্যে মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে এসি, কুলার ৷ তাই এমন সময়ে এই ধরনের চাহিদা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা ৷ ইতিমধ্যে বহু জায়গায় গরমের মধ্যে লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ তবে সেই অভিযোগ সামাল দিতে দিন-রাত কাজ করছে বিদ্যুৎ দফতর ৷

সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা রাত জেগে কাজ করছেন ৷ কিন্তু এই মুহূর্তে সমস্যা, বিভিন্ন এলাকায় এসি লাগানোর হিড়িক যেভাবে বেড়েছে, তাতে আচমকা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ৷ তাই কোথাও কোথাও প্রয়োজনে জেনারেটর লাগিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বিদ্যুৎ দফতর ৷ এই পরিস্থিতিতে লোডশেডিংয়ের ঘটনা পুরোপুরি শূন্য করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা ৷

আরও পড়ুন:

  1. চাঁদিফাটা গরমে জেরবার রাজ্য ! ক'দিন চলবে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টির সম্ভাবনা কতদূর ?
  2. ভাঙল অর্ধশতকেরও বেশি সময়ের রেকর্ড! কলকাতা পৌঁছল 43 ডিগ্রিতে; বৃষ্টি নিয়েও স্বস্তির খবর
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.