ETV Bharat / state

কোনও রকমের অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না, প্রথম দফা ভোটের আগে কড়া নির্দেশ কমিশনের - LOK SABHA ELECTION 2024 - LOK SABHA ELECTION 2024

First Phase Of Lok Sabha Election 2024: ভোটে কোনও রকমের অশান্তি সহ্য করা হবে না ৷ কড়া নির্দেশ কমিশনের ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 13, 2024, 3:17 PM IST

কলকাতা, 13 এপ্রিল: প্রথম থেকে শেষ নির্বাচনের কোনও পর্যায়ে কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। শনিবার এমনটাই কড়া নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিন সকাল থেকে প্রথম দফার তিনটি জেলা কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কমিশনের কর্তা-ব্যক্তিরা ৷ দিল্লি থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন কমিশনের আধিকারিকরা ৷ সেই বৈঠকেই আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে স্পষ্টভাষায় জেলাগুলিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

প্রথম দফার নির্বাচনী প্রস্তুতিতে প্রথম তিন দফার জেলাগুলিতে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে এদিন সকাল থেকেই ধাপে ধাপে বৈঠক চলেছে। বৈঠকে রয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা, তিন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের আধিকারিকরা।

প্রথম দফার নির্বাচনী প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ওই তিন জেলার ভোটাররা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে আসতে পারেন এবং ভোট শেষ হলে যাতে কোথাও কোনওরকম হিংসা বা সন্ত্রাস না হয়, সেই বিষয়টির উপরে কড়া নজর দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদেরকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভোটের দিন প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ভোট প্রক্রিয়া কতটা এগোল, কোথায় কী ধরনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে ৷ এর পরে সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লিতে।

এই তিন জেলার সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে জেলা প্রশাসনকে ফের শীতলকুচির ঘটনা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে ৷ শীতলকুচিতে বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেছিল তার পুনরাবৃত্তি যেন কোনওভাবেই না ঘটে তা দেখতে বলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি তেমন কোনও ঘটনা ঘটলে তা সহ্য করা হবে না এবং কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। নাকা চেকিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ কর্তাদের সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও এদিন প্রথম দফার তিন জেলাশাসকদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুরো সহায়তা থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৷ কমিশনের দাবি, নির্বাচনের অনেক আগেই সর্বত্র পৌঁছে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ প্রতি বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সুতরাং নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন শেষ হওয়ার পর কোনও মতেই কোনও হিংসা বা অশান্তি ঘটনার সহ্য করা হবে না। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আবারও বৈঠক হবে আগামী 15 এপ্রিল দুপুরে ৷ ওইদিন বৈঠক হবে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচন নিয়ে।

আরও পড়ুন

  1. 18 বুথে ওয়েবকাস্টিং সম্ভব নয়, সমস্যায় নির্বাচন কমিশন
  2. ভোটের আগে উত্তরবঙ্গের 3 জেলার সঙ্গে বৈঠক নির্বাচন কমিশনের

কলকাতা, 13 এপ্রিল: প্রথম থেকে শেষ নির্বাচনের কোনও পর্যায়ে কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। শনিবার এমনটাই কড়া নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিন সকাল থেকে প্রথম দফার তিনটি জেলা কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কমিশনের কর্তা-ব্যক্তিরা ৷ দিল্লি থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন কমিশনের আধিকারিকরা ৷ সেই বৈঠকেই আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে স্পষ্টভাষায় জেলাগুলিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

প্রথম দফার নির্বাচনী প্রস্তুতিতে প্রথম তিন দফার জেলাগুলিতে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে এদিন সকাল থেকেই ধাপে ধাপে বৈঠক চলেছে। বৈঠকে রয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা, তিন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের আধিকারিকরা।

প্রথম দফার নির্বাচনী প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ওই তিন জেলার ভোটাররা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে আসতে পারেন এবং ভোট শেষ হলে যাতে কোথাও কোনওরকম হিংসা বা সন্ত্রাস না হয়, সেই বিষয়টির উপরে কড়া নজর দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদেরকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভোটের দিন প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ভোট প্রক্রিয়া কতটা এগোল, কোথায় কী ধরনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে ৷ এর পরে সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লিতে।

এই তিন জেলার সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে জেলা প্রশাসনকে ফের শীতলকুচির ঘটনা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে ৷ শীতলকুচিতে বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেছিল তার পুনরাবৃত্তি যেন কোনওভাবেই না ঘটে তা দেখতে বলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি তেমন কোনও ঘটনা ঘটলে তা সহ্য করা হবে না এবং কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। নাকা চেকিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ কর্তাদের সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও এদিন প্রথম দফার তিন জেলাশাসকদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুরো সহায়তা থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৷ কমিশনের দাবি, নির্বাচনের অনেক আগেই সর্বত্র পৌঁছে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ প্রতি বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সুতরাং নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন শেষ হওয়ার পর কোনও মতেই কোনও হিংসা বা অশান্তি ঘটনার সহ্য করা হবে না। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আবারও বৈঠক হবে আগামী 15 এপ্রিল দুপুরে ৷ ওইদিন বৈঠক হবে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচন নিয়ে।

আরও পড়ুন

  1. 18 বুথে ওয়েবকাস্টিং সম্ভব নয়, সমস্যায় নির্বাচন কমিশন
  2. ভোটের আগে উত্তরবঙ্গের 3 জেলার সঙ্গে বৈঠক নির্বাচন কমিশনের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.