কলকাতা, 29 মার্চ: নিজের সিবিআই হেফাজত শেষ করে বৃহস্পতিবার অবশেষে সংশোধনাগারে গিয়েছেন সন্দেশখালির একসময়ের বেতাজ বাদশা হিসেবে পরিচিত শেখ শাহজাহান । তবে তাঁর পিছু ছাড়ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এ বার সিবিআইয়ের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা শেখ শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ৷ প্রথমে সংশোধনাগারে গিয়ে তারপর প্রয়োজনে শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি ।
প্রথমে শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট মহকুমা সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ইচ্ছুক ইডি । আর সে জন্যই আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । জানা গিয়েছে, তারা আদালতকে জানাবে, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এবং সবথেকে বড় দুর্নীতির অভিযোগ হল মাছের ব্যবসার দুর্নীতি ।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই মাঠে ময়দানে নেমে পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে জানতে পেরেছেন যে, শাহজাহান মাছের ব্যবসার নামে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত । একাধিক ব্যবসায়ীকে হুমকিও দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে । তাঁকে এই মাছের ব্যবসার দুর্নীতির ঘটনায় সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, এরপর শেখ শাহজাহানের নামে একাধিক অন্যান্য অভিযোগও রয়েছে ৷ সেই অভিযোগেও তাঁকে সংশোধনাগারে গিয়ে এবং প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে জেরা করবেন তদন্তকারীরা ।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা গত পাঁচই জানুয়ারি উত্তর 24 পরগনার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়েছিলেন । তল্লাশি তো হয়ইনি বরং তাঁদের কপালে জুটেছিল প্রবল মার । রক্তাক্ত হতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের । এই ঘটনার পর থেকেই ধীরে ধীরে শেখ শাহাজাহান যে ওই এলাকায় কতটা প্রভাবশালী তা ফের প্রমাণিত হয় । সন্দেশখালিতে একাধিক মহিলার উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শেখ শাহজাহান এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে । গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির গোয়েন্দারা মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করে শেখ শাহজাহানকে । এরপরে শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছিল সিবিআই ।
আরও পড়ুন: