কলকাতা, 14 ফেব্রুয়ারি: তৃতীয়বারের নোটিশেও সাড়া মেলেনি শেখ শাহজাহানের । উলটে কোর্টে আবেদন করেছেন জামিনের । তবে আগাম জামিন সম্পর্কে অনেকটা এবারে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে শেখ শাহজাহান। এক্ষেত্রে ফের তাঁকে নোটিশ দেওয়া হবে নাকি তাঁর বিরুদ্ধে এবার আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই বিষয়ে জানার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ইডির সদর দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন এই রাজ্যের তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, আগামিকাল বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে আধিকারিকরা দিল্লিতে সদর দফতরের আধিকারিক এবং আইনি পরামর্শদাতাদের সঙ্গে কথা বলবেন । মূলত পরামর্শ নেওয়া হবে যে, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নিতে গেলে তদন্তকারীদের সামনে কোন কোন আইনি জটিলতা আসতে পারে । এছাড়াও সেই সকল লাইনে জটিলতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ?
ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং সন্দেশখালির উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের একটি চিঠি লিখে ইডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যেন শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থা নেয় । তবে সেই ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে যাওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহানের নাগাল পায়নি পুলিশ ।
গত মাসে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তকারী আধিকারিকরা উত্তর 24 পরগনার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে আসেন। ডাকাডাকি করা হলেও তাঁর বাড়ি থেকে কোন সাড়াশব্দ না-মেলায় অবশেষে বাড়ির কোলাপসিবল গেট খোলার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাদের উপর হামলা চালায় ৷ ভাঙচুর করা হয় গাড়ি ৷ তদন্তকারী আধিকারিকরা পালিয়ে আসেন কলকাতায়। মারধর করা হয় সিআরপিএফ জওয়ানদেরও ।
শুধু মারধরেই থেমে থাকেনি, তদন্তকারীদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা । এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা সন্দেশখালির 'বেতাজ-বাদশা' বলে পরিচিত শেখ শাহজাহান । সেই ঘটনার পর তাকে একাধিকবার নোটিশ দিয়ে ডাকা সত্ত্বেও তিনি ইডি অফিসে হাজিরা দেননি ।
আরও পড়ুন :