কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: এ বার বিদেশে বসবাসকারী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক আত্মীয়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বিদেশের কারওকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির নোটিশ পাঠিয়ে কলকাতায় তলবের ঘটনা এ রাজ্যে এই প্রথম ঘটতে চলেছে ৷
এর আগে তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে একাধিকবার ইডি অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তথ্য পাওয়ার পরেই 'ইম্প্রলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড' নামে একটি নয়া সংস্থার নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা । ইডি সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট সংস্থায় একটি সময় ডিরেক্টর পদে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার রাজীব দে । যাঁর বাড়িতে আজ তল্লাশি চালানো হচ্ছে ।
সেই সময় সংস্থায় আরও এক ডিরেক্টর ছিলেন পার্থর স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায় । কিন্তু 2020 সালে বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর পার্থর জামাই কল্যাণময় এবং তাঁর মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে আসীন হন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন । ঘটনাচক্রে এঁরা কেউই এখন দেশে নেই বলে খবর ৷ ফলে বিদেশেই তাঁদের নোটিশ পাঠিয়ে তলব করার কথা ভাবছে ইডি ৷
এই রাজীব দে-ই কি পার্থর প্রয়াত স্ত্রী বাবলি ও তাঁর জামাইকে সামনে রেখে দুর্নীতির গোটা জাল বিছিয়েছিলেন ? আর সেই টাকার একটি অংশ কি রাজীব নিজের প্রোমোটিংয়ের ব্যবসায় লগ্নি করেছেন ? এই সব প্রশ্নের জবাব পেতেই আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে রাজীব দে নামে ওই প্রোমোটারের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা ।
এর আগে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ৷ তাঁকে ধীরে ধীরে জেরা করে, একে একে নতুন নতুন নাম জানতে পারেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা । কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের জালে ধরা পড়তে থাকেন এসএসসি-র একাধিক আধিকারিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব । নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সমান্তরাল তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই ।
আরও পড়ুন: