কলকাতা, 9 এপ্রিল: মাছ ব্যবসায়ী হাসান রিন্টু সন্দেশখালি কাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড' শেখ শাহজাহানকে চিংড়ি মাছ বিক্রি করতেন এবং কালো টাকা সাদা টাকায় রূপান্তরিত করতেন বলে অভিযোগ ৷ এ বার সেই ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠাল ইডি ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷
ইডি সূত্রের খবর, শাহজাহানের একাধিক সংস্থার দেখাশোনার কাজে নিযুক্ত ছিলেন হাসান ৷ প্রায় রোজই তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হত । সে কারণেই তদন্তের জন্য হাসান রিন্টুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি । শাহাজাহানকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, চিংড়ি মাছের ব্যবসার আড়ালে 137 কোটি কালো টাকা সাদা করেছে সে ৷
অন্যদিকে, শেখ শাহাজাহানের স্ত্রী তসলিমাকে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে । চলতি সপ্তাহেই ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে ৷ এর আগেও তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা ।
শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে এসেছে দু'টি সংস্থার নাম । মাছের রফতানির কাজ করতে একদা শাহজাহানের ইশারায় কাজ করত এই দুই সংস্থা ৷ তাদের মাধ্যমেই শাহজাহানের সংস্থায় টাকা ঢুকেছিল বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি ৷ এই দুই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে হাসানের ৷ এ বার তাই গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন তিনি ৷ তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে । পাশাপাশি তাঁর বয়ান রেকর্ড করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ।
উত্তর 24 পরগনা জেলার সন্দেসখালির জমি দখল করে মাছের ভেড়ি নির্মাণ নিয়ে শাহজাহান-শিবু হাজরার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন সেখানকার সাধারণ মানুষ । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাছের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কয়েকশো কোটি টাকার রোজগার নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা ৷ সন্দেশখালির নোনা জলে চাষ হত বাগদা চিংড়ির । সেই মাছ বিক্রির প্রতিটি ধাপে ছিল শাহজাহানের ভাই সিরাজ ও আলমগীরের কর প্রথা ।
আরও পড়ুন: