চন্দননগর, 6 ফ্রেব্রুরারি: চন্দননগরে সন্দীপ সাঁধুখার বাড়িতে টানা সাত ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশির পর উদ্ধার নথিপত্র। আগামী সোমবার 12 ফ্রেব্রুরারি ফের সিজিও কমপ্লেক্স সন্দীপকে তলব করেছেন ইডির আধিকারিকরা । যদিও এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি সন্দীপ সাঁধুখা। তবে প্রতিবেশী প্রদীপ সেনের দাবি সন্দীপকে ফাঁসানো হয়েছে। কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি চন্দননগরের বাড়ি থেকে। এবিষয়ে কিছু বলতে চায়নি ইডির অফিসারা।
একশো দিনের কাজ খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার জেলায় জেলায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল । হুগলিতেই প্রায় 2 কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন চন্দননগরের হরিদ্রা ডাঙ্গায় পঞ্চায়েত কর্মী সন্দীপ সাঁধুখার বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকরা। একশো দিনের কাজ না-করে টাকা তুলে নেওয়া। ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে টাকা তোলা। কোথাও আবার ভুয়ো বিলের খোঁজ চালানো হয় ।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজের প্রকল্পের নামে একই জায়গায় একাধিকবার মনরেগার কাজ দেখানো হয়। তাই সরকারি আধিকারিক ও নির্মাণ সহায়ক-দের কাছে থেকে নথি ও তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে তল্লাশি চালায় ইডি। পঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকেন নির্মাণ সহায়করা। তাই এই দুর্নীতির তদন্তে তাদেরকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।
ধনিয়াখালির বেলমুড়ি পঞ্চায়েতে একটি অভিযোগ সামনে আসে, সে সময় ওই পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক ছিলেন সন্দীপ সাধুখাঁ। যদিও বর্তমানে খানাখুলের জগৎপুর পঞ্চায়েতে দায়িত্বে আছেন তিনি। তৎকালীন ধনিয়াখালি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের হয় থানায়। এরপরই তদন্তে নামে ইডি। মঙ্গলবার চন্দননগরে হরিদ্রা ডাঙ্গায় সেই সন্দীপ সাধুখাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। যদিও বেলমুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান অসিত মুদি এবিষয়ে কিছুই মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, "যে সময়কার ঘটনা তখন আমি প্রধান ছিলাম না। কী হয়েছে বলতে পারব না। তবে ইডি যদি তদন্তে আসে আমরা তাদের সাহায্য করব।"
সন্দীপ সাঁধুখার প্রতিবেশী প্রদীপ সেন বলেন, "কিছু কাগজপত্র নিয়ে গেছে। যদিও কোন টাকা পয়সা পাইনি। দুটি আলমারি তল্লাশি করে যা টাকা-পয়সা পেয়েছিল তা ফেরত দিয়ে গেছে আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে অফিসার নির্দেশ দিয়ে গেছে সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে দেখা করতে বলা হয় সন্দীপ সাঁধুখাকে। স্থানীয় প্রতিবেশী আরও বলেন সন্দীপ সঙ্গে কথা বলে যেটুকু বুঝতে পারলাম সে সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। সন্দীপ দাবি করেছে কোন টাকা পয়সা নেয়নি সে। ব্যাংকের মাধ্যমে যা টাকা পয়সা জমা পড়েছে ।"
আরও পড়ুন: