কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর: সিবিআইয়ের পর এবার ইডি। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে এলেন ইডি আধিকারিকরা ৷ শুক্রবার সকাল বেলেঘাটায় সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা ৷ পাশাপাশি তাঁর বেশে কয়েকজন ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা ৷
তবে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে ঢোকর আগে ইডি আধিকারিকদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে ৷ এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে ৷ সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইডি গোয়েন্দারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়িতে পৌঁছন ৷ সন্দীপ ছাড়াও তাঁর ঘনিষ্ঠ সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংঘের বাড়িতেও চলছে ইডি তল্লাশি ৷
ইডি সূত্রের খবর, হাওড়ায় কৌশিক কোলে নামে অন্য এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ একইসঙ্গে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার সুভাষগ্রামে প্রসূন চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, এই ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করা প্রসূনও আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
যদিও সন্দীপ ঘোষ এই মুহূর্তে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে ৷ আদালত তাঁকে 8 দিনের সিবিআই হেফাজত দিয়েছে ৷ গত সোমবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ গতকালই প্রকাশ্যে আসে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক সব নথি পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷
সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারের পাশাপাশি সেদিনই চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিপ্লব সিং ও সুমন হাজরাকেও গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আরজি কর হাসপাতালের আথিক দুর্নীতি কান্ডের যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকেই উদ্ধার করেছিল সিবিআই। এবার এই দুর্নীতির ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত এবং কীভাবে দুর্নীতির বীজ বপন হয়েছিল, তা জানতেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা তল্লাশি শুরু করেন ৷ 9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম উদ্ধার হয় মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ ৷ তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ ৷ প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে দেশে ছাড়িয়ে বিদেশেও ৷