সল্টলেক, 28 ফেব্রুয়ারি: ফের শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে ইডির তল্লাশি ৷ বুধবার সকালে সল্টলেকের একটি বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ জানা গিয়েছে, সেটি এবিলিটি গেমস লিমিটেড কোম্পানির এমডি সুরজ চোখানির বাড়ি ৷ এর সঙ্গে তাঁর সেক্টর ফাইভের অফিসেও তল্লাশি চালায় ইডি ৷ পাশাপাশি শহরের আরও কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি ৷ তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা জানা যায়নি ৷
এদিন সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি অভিযানে নামেন ইডির আধিকারিকরা ৷ সল্টলেকের এই ব্লকের 430 নম্বর বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি ৷ এটি ব্যবসায়ী সুরজ চোখানির বাড়ি ৷ পাশাপাশি সল্টলেক সেক্টর ফাইভে তাঁর অফিসেও পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা ৷ এবিলিটি গেমস লিমিটেড কোম্পানির এমডি সুরজ চোখানির গেমিং অ্যাপ-সহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে বলে খবর ৷ করোনাকালে করোনা কিটের ব্যবসাও ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷
এর আগে 16 ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতায় তল্লাশি চালায় ইডি ৷ এদিন সাতসকালে নাকতলায় প্রোমোটার ও ব্যবসায়ী রাজীব দের বাড়িতে ইডির অধিকারিকরা হানা দেন ৷ এই ব্যবসায়ী প্রাক্তন শিক্ষা ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই জানা গিয়েছে ৷ নাকতলায় একসঙ্গে ব্যবসায়ীর তিনটি ফ্ল্যাটে অভিযান শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকরা ৷
ইডি সূত্রের খবর, এর আগে বহুবার প্রোমোটার তথা ব্যবসায়ী রাজীব দে-কে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ৷ তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা এই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বিনিয়োগ করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা দিয়ে একাধিক বেনামী ফ্ল্যাটও তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ আর সেই বিষয়ে আরও জানতেই এই তল্লাশি ৷
আরও পড়ুন: