আসানসোল, 7 অগস্ট: ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফের জল ছাড়ল ডিভিসি । বুধবার ডিভিসির পাঞ্চেত জলাধার থেকে 53 হাজার কিউসেক এবং মাইথন জলাধার থেকে 12 হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি । যদিও এই জল ছাড়ার ফলে বন্যার কোনও আগাম সর্তকতা দেয়নি দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) ।
কয়েকদিন আগে হঠাৎই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জল ছাড়তে শুরু করেছিল ডিভিসি । তখন বন্যার হলুদ সতর্কতা জারি করেছিল । নবান্ন থেকেও রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ডিভিসির জল ছাড়াকে দায়ী করা হচ্ছিল । গত রবিবার পাঞ্চেত থেকে বড় মাপের জল ছাড়া হয় । সেদিন পাঞ্চেত থেকে 1 লক্ষ 14 হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয় । যদিও মাইথনে 6 হাজার কিউসেক হারেই জল ছাড়ার পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়, যা মূলত বিদ্যুত তৈরিতে টারবাইন ঘোরানোর জন্য লাগে ।
পরবর্তী ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে জল ছাড়া কমিয়ে আনে ডিভিসি । জানা গিয়েছে, ঝাড়খন্ডের তেনুঘাট জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কম হলেই পাঞ্চেত থেকে কম হারে জল ছাড়া হয় । সোমবার পাঞ্চেতের জল ছাড়া কমিয়ে 43 হাজার কিউসেক হারে নিয়ে আসা হয় । কিন্তু বুধবার পুনরায় জল ছাড়ার পরিমাণ সামান্য বাড়ানো হয়েছে । এ রাজ্যে তেমন বৃষ্টি না হলেও ঝাড়খন্ডের দিকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে । ফলে সেই জল জমা হওয়ার কারণে বুধবার পাঞ্চেত থেকে 53 হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি ।
পাশাপাশি, মাইথন থেকেও 12 হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে । তাপবিদ্যুতের জন্য 6 হাজার কিউসেক বাদ দেওয়া হয় ৷ তবে অতিরিক্ত 6 হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে মাইথন । পাঞ্চেত ও মাইথনের এই জল দুর্গাপুর ব্যারেজে গিয়ে জমা হয় । দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর চাপ সৃষ্টি হতেই সেখান থেকে জল ছাড়া শুরু হয় ।
যদিও ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খন্ডের দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণে জল ছাড়া হতে পারে । তবে বর্তমানে যে হারে জল ছাড়া হচ্ছে তাতে বন্যার তেমন উদ্বিগ্নতা নেই রাজ্যে ৷