আসানসোল, 5 অগস্ট: ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির হার কমে যাওয়ায় ডিভিসির তেনুঘাট থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হয়েছে। যার ফলে পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমাল ডিভিসি। ডিভিসির জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে 9টা পর্যন্ত পাঞ্চেত থেকে 43 হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি মাইথন থেকে মাত্র 6 হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। বিদ্যুৎ তৈরির জন্য এটুকু জল ছাড়তেই হয়। স্বভাবতই পাঞ্চেত ও মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কম হলে দুর্গাপুর থেকেও কম পরিমাণে জল ছাড়া হবে।
গত কয়েকদিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জল ছাড়তে শুরু করেছিল ডিভিসি। আর তখনই বন্যার হলুদ সতর্কতা জারি করেছিল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। নবান্ন থেকেও রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ডিভিসির জল ছাড়াকে দায়ী করা হচ্ছিল। রবিবারও পাঞ্চেত থেকে বড় মাপের জল ছাড়া হয়। গতকাল পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ 1 লক্ষ 14 হাজার কিউসেক হারে। যেহেতু মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরিমাণটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৷ তাই 6 হাজার কিউসেক হারেই জল ছাড়া হয় মাইথন থেকে, যা মূলত বিদ্যুৎ তৈরিতে টারবাইন ঘোরানোর জন্য লাগে।
পাঞ্চেতের এই জল দুর্গাপুর ব্যারেজে গিয়ে জমা হয়। দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর চাপ সৃষ্টি হতেই সেই দুর্গাপুর ব্যারেজে জল ছাড়তে শুরু করে ফলে রাজ্যে স্বভাবতই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রতিবারই যেটা দেখা যায়, ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লেই ওই রাজ্যের তেনুঘাট জলাধার থেকে জল ছাড়তে শুরু করে ডিভিসি। আর সেই জলের কারণেই এই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও রবিবারের পর সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক এবং বন্যার উদ্বিগ্নতা কাটছে, জল ছাড়ার পরিমাণ কম করায়।
ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট জলাধার থেকে জল ছাড়া কম হয়েছে বলে ডিভিসি থেকে জানানো হয়েছে ৷ আর সেই কারণেই পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে পাঞ্চেত থেকে 43 হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। মাইথনের জল ছাড়ায় কোনও বিপদসীমা এই মুহূর্তে নেই। প্রয়োজনীয় জল যেটুকু ছাড়া জয় সেটুকুই ছাড়া হচ্ছে। যদিও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণে জল ছাড়া হতে পারে এমনটাই উল্লেখনীয়। তবে বর্তমানে যে হারে জল ছাড়া হচ্ছে তাতে বন্যার আশঙ্কা কমে আসছে রাজ্যে এমনটাই জানানো হচ্ছে।