ETV Bharat / state

নিম্নচাপ ও পূর্ণিমা কোটালের জোড়া ফলা, সাগরের গ্রাসে কপিলমুনি মন্দিরের নদী বাঁধ - Kapil Muni Temple

River Dam Of Kapil Muni Temple Damaged: পূর্ণিমার কোটাল ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় কপিলমুনি মন্দিরের সামনে নদী বাঁধে ভাঙন ৷ যার জেরে আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা ৷

River Dam Erosion
সমুদ্রের গ্রাসে কপিলমুনি মন্দিরের নদী বাঁধ (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 22, 2024, 1:04 PM IST

Updated : Jul 22, 2024, 1:55 PM IST

গঙ্গাসাগর, 22 জুলাই: দেশের অন্যতম তীর্থস্থান গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দির। প্রশাসনের অবহেলায় ও সমুদ্রের গ্রাসে একটু একটু করে যেন গিলে খাচ্ছে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের নদী বাঁধকে। সমুদ্র যেন ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে আগের পাঁচটি মন্দিরের মতো এই মন্দিরটিকেও তার নিজের গভীর জলরাশিতে নিমজ্জিত করতে চাইছে। কার্যত অসহায় মানুষজন। নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার জোড়া ফলায় ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের বিভিন্ন নদী বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

নিম্নচাপ ও পূর্ণিমা কোটালের জোড়া ফলা (ইটিভি ভারত)

ভেঙে গিয়েছে 1 নম্বর রাস্তা থেকে 5 নম্বর রাস্তা পর্যন্ত যাওয়ার যোগাযোগকারী রাস্তা। উত্তাল সমুদ্র যেন সবকিছু নিমেষে শেষ করতে চাইছে ৷ বিশাল বিশাল জলরাশি আছড়ে পড়ছে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনেই নদী বাঁধে। পূর্ণিমার কোটাল ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় কার্যত রুদ্রমূর্তি সমুদ্র। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মানুষজনদের নিরাপদে অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং চালানো হচ্ছে।

এছাড়া গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনে যে সকল অস্থায়ী দোকান রয়েছে সে সকল অস্থায়ী দোকানদার কেউ অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সমুদ্রের এই তাণ্ডবলীলায় গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনে সমুদ্রের তীরে থাকা বহু অস্থায়ী দোকান জলে তোরে ভেসে গিয়েছে। কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছেন সমুদ্রের তীরে থাকা ব্যবসায়ীরা। বহু ব্যবসায়ী নিজেদের শেষ সম্বলটুকু আগলে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সাগরের কাছে অসহায় ব্লক প্রশাসন। সমুদ্র যেন ক্রমশ রুদ্রমূর্তি ধারণ করে এগিয়ে আসছে কপিলমুনির মন্দিরের দিকে। এবিষয়ে এক স্থানীয় ব্যবসায়ী তিনি বলেন, "প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলার সময় কোটি কোটি টাকা ব্যয় গঙ্গাসাগরের নদী বাঁধ মেরামতির কাজ হয় কিন্তু মেলা শেষ হয়ে গেলে সেই নদী বাঁধের উপর আর নজর থাকে না প্রশাসনের। প্রতিবছর বর্ষার কোটালে সমুদ্রের জলস্ফীতি দেখা যায় এবং উত্তাল ঢেউ ক্রমশ নদী বাঁধে আছড়ে পড়ে ৷"

তিনি আরও বলেন, "এর ফলে নদী বাঁধ অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়। গঙ্গাসাগর মেলার সময় যে সকল বাঁধ ও রাস্তা করা হয়েছিল। সে সকল এখন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। আমাদের বহু দোকান এই সাগরে চলে গিয়েছে, প্রশাসনের উচিত এই নদী ভাঙনের একটি স্থায়ী সমাধান করার। তাই সমাধান যদি না-করা হয় তাহলে আগামিদিনে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরও আগের বেশ কয়েকটি মন্দিরের মতো সমুদ্রে ডুবে যাবে ৷"

গঙ্গাসাগর, 22 জুলাই: দেশের অন্যতম তীর্থস্থান গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দির। প্রশাসনের অবহেলায় ও সমুদ্রের গ্রাসে একটু একটু করে যেন গিলে খাচ্ছে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের নদী বাঁধকে। সমুদ্র যেন ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে আগের পাঁচটি মন্দিরের মতো এই মন্দিরটিকেও তার নিজের গভীর জলরাশিতে নিমজ্জিত করতে চাইছে। কার্যত অসহায় মানুষজন। নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার জোড়া ফলায় ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের বিভিন্ন নদী বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

নিম্নচাপ ও পূর্ণিমা কোটালের জোড়া ফলা (ইটিভি ভারত)

ভেঙে গিয়েছে 1 নম্বর রাস্তা থেকে 5 নম্বর রাস্তা পর্যন্ত যাওয়ার যোগাযোগকারী রাস্তা। উত্তাল সমুদ্র যেন সবকিছু নিমেষে শেষ করতে চাইছে ৷ বিশাল বিশাল জলরাশি আছড়ে পড়ছে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনেই নদী বাঁধে। পূর্ণিমার কোটাল ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় কার্যত রুদ্রমূর্তি সমুদ্র। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মানুষজনদের নিরাপদে অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং চালানো হচ্ছে।

এছাড়া গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনে যে সকল অস্থায়ী দোকান রয়েছে সে সকল অস্থায়ী দোকানদার কেউ অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সমুদ্রের এই তাণ্ডবলীলায় গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনে সমুদ্রের তীরে থাকা বহু অস্থায়ী দোকান জলে তোরে ভেসে গিয়েছে। কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছেন সমুদ্রের তীরে থাকা ব্যবসায়ীরা। বহু ব্যবসায়ী নিজেদের শেষ সম্বলটুকু আগলে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সাগরের কাছে অসহায় ব্লক প্রশাসন। সমুদ্র যেন ক্রমশ রুদ্রমূর্তি ধারণ করে এগিয়ে আসছে কপিলমুনির মন্দিরের দিকে। এবিষয়ে এক স্থানীয় ব্যবসায়ী তিনি বলেন, "প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলার সময় কোটি কোটি টাকা ব্যয় গঙ্গাসাগরের নদী বাঁধ মেরামতির কাজ হয় কিন্তু মেলা শেষ হয়ে গেলে সেই নদী বাঁধের উপর আর নজর থাকে না প্রশাসনের। প্রতিবছর বর্ষার কোটালে সমুদ্রের জলস্ফীতি দেখা যায় এবং উত্তাল ঢেউ ক্রমশ নদী বাঁধে আছড়ে পড়ে ৷"

তিনি আরও বলেন, "এর ফলে নদী বাঁধ অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়। গঙ্গাসাগর মেলার সময় যে সকল বাঁধ ও রাস্তা করা হয়েছিল। সে সকল এখন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। আমাদের বহু দোকান এই সাগরে চলে গিয়েছে, প্রশাসনের উচিত এই নদী ভাঙনের একটি স্থায়ী সমাধান করার। তাই সমাধান যদি না-করা হয় তাহলে আগামিদিনে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরও আগের বেশ কয়েকটি মন্দিরের মতো সমুদ্রে ডুবে যাবে ৷"

Last Updated : Jul 22, 2024, 1:55 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.