বোলপুর, 24 অগস্ট: ‘‘শাসক দলের মদতে আরজি করের সমস্ত প্রমাণ লোপাটের মূলে সন্দীপ ঘোষ’’ ৷ বোলপুরে বিস্ফোরক ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী ৷ আরজি করের প্রতিবাদে এদিন বোলপুর শহরজুড়ে বাম-মনস্ক মানুষ মিছিল করেন ৷ সেই মিছিলেই হাঁটলেন সর্বভারতীয় ফেডারেশন গভর্নমেন্ট ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি সুবর্ণ ৷
বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ওই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয় ৷ তাতে অংশ নেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী ৷ এই ঘটনার প্রথম থেকেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ৷ সুবর্ণবাবুর বাড়ি বোলপুরের সিঙ্গি গ্রামে ৷ এখানেই বড় হয়েছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের আড়াল করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চলছে, কলকাতা পুলিশ ব্যর্থ । অভিযুক্তদের আড়াল করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চলছে ৷ ঘটনার পর ওই ছাত্রীর বাবা-মা’কে খবর দেওয়া হয় ৷ বলা হয় মেয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷ হাসপাতালে ডাকার পর তাদের 3 ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল, মৃতদেহ দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি ৷’’
সুবর্ণ গোস্বামী আরও বলেন, ‘‘সন্দীপ ঘোষ আর তাঁর চ্যালা, শাসক দলের কিছু নেতা পরামর্শ করছিলেন কীভাবে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়া যায় ৷ প্রমাণ লোপাটের জন্য নানান ধরনের চেষ্টা করা হয় ৷ নিজেদের তাবেদারদের দিয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কমিটি করা হয় ৷ যাতে রিপোর্টেও গড়মিল করা যায় ৷ তাই ভুলে ভরা ফরেন্সিক রিপোর্ট বেরিয়ে এসেছে ৷ কোনও নিয়ম মানছে না । একের পর এক বিভ্রান্তি হচ্ছে।’’
তাঁর অভিযোগ, সংস্কারের নামে ঘটনাস্থল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে । 14 তারিখ রাতে যখন মহিলারা রাস্তায় নেমে মিছিল করছে তখন 30-40 জন গুণ্ডা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ৷ সশস্ত্র গুণ্ডাকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ সমস্ত প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত এই সন্দীপ ঘোষ ৷ সিবিআইয়ের কাছে দাবি, প্রকৃত দোষীদের ধরতে হবে ৷ প্রমাণ লোপাটকারীদেরও ধরে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দিতে হবে ।’’