কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ উঠে যাওয়ার পর ছোটখাটো মিছিল চলছিল ৷ তবে দেবীপক্ষের সূচনাকালে আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে ফের রাজপথ দখলের কর্মসূচি নিলেন প্রতিবাদীরা ।
পয়লা অক্টোবর এক লাখ লোকের নাগরিক মিছিল হবে কলেজ স্কোয়্যার থেকে রবীন্দ্র সদন ৷ আর 2 তারিখ 2 লাখ লোকের নাগরিক মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত । শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে করে এই দুই মিছিলের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস, ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্তরস ফোরাম । এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন সৌম্য দত্ত, উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস গুমটা-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তাঁদের দাবি, 55টি সংগঠন যোগ দেবে এক ও দুই তারিখের কর্মসূচিতে ।
আগামী 2 অক্টোবর মহালয়া । দেবীপক্ষের সূচনা ৷ প্রতি বছরের মতো তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী শুরু করে দিচ্ছেন পুজোর উদ্বোধন । মাস পয়লা থেকেই শুরু হয়ে যাবে উৎসব ৷ আর এই উৎসবের সূচনাকালে প্রতিবাদে ফের উত্তাল হতে চলেছে মহানগরের রাজপথ ।
আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বিচার, আরজি করের ঘটনায় তথ্য চাপা দেওয়ায় অভিযুক্তদের শাস্তি, থ্রেট কালচারের অবসান - মূলত এই দাবিগুলিকে সামনে রেখেই এই দুই মিছিল হতে চলেছে পরপর দু'দিন । ইতিমধ্যে মহালয়ার ভোর দখলের ডাক দিয়েছে নাগরিক সমাজ । এর পর আবার সে'দিনই দুই লাখ লোকের মিছিলের ডাক । ফলে মহালয়ার দিন যে উৎসবের বদলে দিনভর প্রতিবাদই দেখবে কলকাতা, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । এই আন্দোলনে থাকবেন জুনিয়র ডাক্তাররাও ।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা বলেন, "লক্ষ্য এক, তিলোত্তমার ন্যায়বিচার, হাসপাতালগুলোতে দুর্নীতির অবসান, থ্রেট কালচারের শেষ করা থেকে ধর্ষণ খুনের ঘটনা চাপতে অভিযুক্তদের শাস্তি । এই দাবি নিয়ে আমরা মিছিল করব । এক তারিখ এক লাখ লোক থাকবেন । দুই তারিখ দু'লাখ লোক পা মেলাবেন । ব্যাঙ্ককর্মী থেকে চিকিৎসক, আমজনতা সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি এই প্রতিবাদে সামিল হতে । উৎসব হোক প্রতিবাদের ।"