কালিম্পং, 14 জুন: একদিকে টানা বৃষ্টিতে ধসের জেরে বিধ্বস্ত সিকিম । অন্যদিকে তিস্তা নদীর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত কালিম্পংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা । ফের সিকিমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে ৷ এর ফলে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে কালিম্পংয়ে তিস্তা নদীর জলস্তর । এতেই বাড়িঘর ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত কালিম্পং ৷ আতঙ্কে রয়েছেন তিস্তাপারের বাসিন্দারা । বিষয়টি উদ্বেগের দেখে শুক্রবার সকালে আধিকারিকদের নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম টি ।
কালিম্পংয়ের বিডিও শামিরুল ইসলামকে গ্রাউন্ড জিরোয় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশও দেন জেলাশাসক । সেইমতো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিস্তাবাজার এলাকায় বৈঠকে বসেন কালিম্পংয়ের বিডিও । এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেখানকার জিটিএ সভাসদ, জিটিএর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা ।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় 229টি পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে 75 হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত 109টি পরিবারের জন্য 15 কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের বিষয়টিও জানানো হয় । এ দিকে তিস্তাবাজার একালায় রাস্তা বন্ধের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় । রাস্তার উপর ছোট গাড়িগুলিকে সারি সারি লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় । তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আতঙ্ক প্রকাশ করেন এলাকাবাসীরা । শ্রেয়াং গুরুং বলেন, "তিস্তার জল বৃদ্ধির কারণে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে ৷ রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ গাড়িও বের করা যাচ্ছে না ৷ এখনও বৃষ্টি চলছে ৷ আমরা ভয়ে রয়েছি ৷"
জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম টি বলেন, "পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে । শুধুমাত্র তিস্তাবাজার, মাল্লি, 27 মাইলে সড়ক জলের নীচে চলে গিয়েছে । ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে । কোথাও কোথাও রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে ।" বিডিও শামিরুল ইসলাম বলেন, "পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলাম । অনেক ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে । কমিউনিটি হল ব্যবহার করা হয়েছে । এ দিকে আর্থিক সাহায্য নিয়েও আলোচনা হয়েছে । জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে প্রোটেকশন ওয়াল তৈরির কাজে গতি আনার জন্য বলা হয়েছে । পূর্ত দফতর বিষয়টি দেখছে ।"