শিলিগুড়ি, 14 ডিসেম্বর: রাজ্য পুলিশের অপদার্থতার জন্য সিবিআই ও ইডির উপর মামলার চাপ বেশি ! আরজি কর-কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন পাওয়া নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ৷ রাজ্যের অধিকাংশ ঘটনার তদন্তভার সিবিআই ও ইডি-র হাতে ৷ এত মামলার চাপেই হয়তো সিবিআই সময় মতো সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিতে পারেনি বলে মত দিলীপের ৷
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে শিলিগুড়ির রেগুলেটেড মার্কেটে বিজেপির সদস্যতা অভিযান কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপির প্রাক্তন এই সাংসদ ৷ সেখানেই আরজি কর-কাণ্ডে প্রমাণ লোপাট মামলায় সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন পাওয়ার প্রসঙ্গে পরোক্ষে রাজ্য পুলিশকেই দায়ী করলেন দিলীপ ৷
তিনি বলেন, "মোদি-দিদি আতাঁতের কিছু নেই ৷ তা না-হলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা জেলে থাকতেন না ৷ আইনের চোখে সবাই সমান ৷ বিজেপি আইনে হস্তক্ষেপ করে না ৷ বরং আইনকে সংরক্ষণ করে ৷ যেসব দুর্নীতির আগে তদন্ত হতো না, এখন সেসবের তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ পুরোটাই সিবিআই আর ইডি করছে ৷ যেমন প্রক্রিয়া চলছে তা চলবেই ৷"
কিন্তু, তা সত্ত্বেও অভিযুক্তরা যে জামিন পেয়ে যাচ্ছেন ! এ নিয়ে দিলীপের বক্তব্য, "এটা ঠিক যে সিবিআই নিয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ ৷ পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি এত খারাপ, পুলিশ প্রশাসন এতটাই নিকম্মা, যেকোনও ঘটনা ঘটলে সিবিআই তদন্ত করাতে হচ্ছে ৷ পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের চেয়েও বেশি মামলা সিবিআই-ইডির কাছে আছে ৷ সারা দেশের কাজ করতে হয় ৷ তাদের কাছে এত কর্মীও নেই ৷ যে কারণে তারা ভালোভাবে তদন্ত করতে পারছে না ৷ সেই কারণেই দেরি হচ্ছে ৷"
অন্যদিকে, বাংলাদেশের ভারত বিরোধিতাকে 'নেড়ি কুকুরের ঘেউ ঘেউ' বলে ব্যঙ্গ করলেন দিলীপ ৷ তিনি বলেন, "বাংলাদেশ নামে যে একটা দেশ আছে, সেটা বিশ্বের কত জন জানে ? আর ভারত বলে একটা দেশ আছে সেটা গোটা দুনিয়া জানে ৷ চিন আর আমেরিকাকে আমরা ধাক্কা মারছি ৷ রাস্তায় হাঁটলে অনেক নেড়ি কুকুর ঘেউ ঘেউ করে ৷ কেউ ফিরেও তাকায় না ৷ রোগ সারাতে ভারতে আসতে হয় ৷ চাষের সারটাও এখান থেকে যায় ৷ এখান থেকে জল না-গেলে শুকিয়ে যাবে ৷ চাল, ডাল, তেল, নুন সবই এখান থেকে যায় ৷ যারা আমাদের দয়া, দাক্ষিণ্য আর উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে আছে, তারা নাকি ভারতকে চমকাবে !"