দুর্গাপুর,31 জানুয়ারি: বহুতল আবাসন নির্মাণের ক্ষেত্রে দমকলের অনুমতি পেতে দীর্ঘ সময় লাগে প্রোমোটারদের। দ্রুত কাজ সারতে দালালদের দ্বারস্থ হন তাঁরা ৷ কম সময়ে দমকল কর্মীদের সঙ্গে 'অশুভ আঁতাত' তৈরি করে মোটা টাকার বিনিময়ে সেই অনুমতিও পাইয়ে দেয় দালালরা। আর সেই দালাল রাজ ঠেকাতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ করলেন নবনিযুক্ত দমকলের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের ৷
মঙ্গলবার বিকালে দুর্গাপুরের দমকল বিভাগ পরিদর্শনে এসেছিলেন ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ৷ সেখানে তিনি বলেন, "দমকলে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আবেদনের 30 দিনের মধ্যে সমস্ত কাগজ খতিয়ে দেখা হবে ৷ বহুতল নির্মাণকারী সংস্থার হাতে দমকলের অনুমতি দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে । কোনও সমস্যা থাকলে সরাসরি দমকল আধিকারিকরা নির্মাণকারী সংস্থার কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন ।"
জানা গিয়েছে, কম সময়ে অনুমতি পেলে দমকলের উপর আস্থা বাড়বে মানুষের। নির্মূল হবে দালাল রাজ। বহুতল আবাসন নির্মাণের ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে বইও বের হয়েছে । অগ্নিনির্বাপনের বিষয়ে ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "দ্রুত আগুন নেভানোর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে । বহুতলে অগ্নিসংযোগ ঘটলে দ্রুত নেভানোর জন্য ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ড্রোন ব্যর্থ হলে দমকলের রোবোটিক যন্ত্রের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে। আর অলিগলিতে পৌঁছে যাচ্ছে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র লাগানো দমকলের অত্যাধুনিক বাইক।"
বিপজ্জনক পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে দমকলেও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ উঁচু জায়গায় আগুন নেভানোর জন্য হাইড্রোলিক ল্যাডারের আনা হয়েছে ৷ এই ল্যাডারের সাহায্যেই বহুতলে আগুন নেভানোর কাজ করা হয়। বহুতল আবাসন করার সময় আবাসনের মধ্যেই আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করার অনুমতি দেওয়া হয়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে সাহায্য নেওয়া হবে বিশেষজ্ঞ কমিটির। সেই বিশেষজ্ঞ কমিটি কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই পরিদর্শন করে কয়েক মাস অন্তর। দুর্গাপুরেও সেই বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকও হয় এদিন।
আরও পড়ুন: