বাঁকুড়া, 28 অক্টোবর: ভারী বৃষ্টিতে দেবখালে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ল বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের সেখডাঙ্গা গ্রাম । গ্রাম আর খালের মধ্যে দূরত্ব আর মাত্র কয়েক ফুট । তারপর যে কোনও মুহূর্তে দেবখালের জলে তলিয়ে যেতে পারে স্থানীয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র-সহ একাধিক বাড়ি ৷ আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীর ৷ ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাজ্য সরকারকে দুষছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিধায়ক ৷ অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, দুর্যোগ কাটলেই খালের পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হবে ।
বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের সেখডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দেবখাল । এমনিতে শান্ত থাকায় দেবখাল নিয়ে চিন্তা নেই এলাকাবাসীর ৷ সেই কারণে, খালের পাড় থেকে কিছুটা দূরে একসময় গড়ে ওঠে স্থানীয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও স্থানীয়দের বসতি ৷ কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকবারের ভারী বৃষ্টিতে দেবখালে শুরু হয় ভয়াবহ ভাঙন । পাড় ভাঙতে ভাঙতে দেবখাল এগিয়ে আসতে শুরু করে গ্রামের দিকে ।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় দানা'র প্রভাবে ভারী বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ৷ এই মুহূর্তে পাড় ভেঙে দেবখাল এসে পৌঁছে গিয়েছে গ্রামের ভিতরে ৷ প্রতিদিন একটু একটু করে ধসে পড়ছে পাড়ের মাটি ৷ আর মাত্র ফুট পাঁচেক দূরত্ব । সেই দূরত্ব মিটে গেলেই দেবখালে ভেসে যাবে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও গ্রামের একাধিক পাকা বাড়ি ৷ এই পরিস্থিতিতে কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে সেখডাঙ্গা গ্রামের মানুষের । শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে গ্রামের শিশুদের পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা ।
গ্রামবাসীদের দাবি, এই ভাঙনের বিষয়টি একাধিকবাক প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে ৷ খালের পাড় বাঁধানোর আবেদনও জানানো হয়েছে বহুবার ৷ তবে, লাভ কিছুই হয়নি ৷ স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক নির্মল কুমার ধাড়া এই ঘটনার জন্য দুষছেন রাজ্য সরকারকেই ৷ তাঁর দাবি, পরবর্তী অধিবেশনে বিষয়টি বিধানসভায় তুলে ধরে দেবখালের পাড় বাঁধানোর আবেদন জানাবেন তিনি ।
অন্যদিকে, স্থানীয় ইন্দাস পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন রক্ষিতের দাবি, দেবখালের এই ভাঙনের বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন ৷ দুর্যোগ কাটলেই ওই এলাকায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে ৷ কিন্তু, সেই কাজ কবে হবে ? আপাতত সেই দিকে তাকিয়ে নিরুপায় সেখডাঙ্গা গ্রামের মানুষ ।