কলকাতা, 24 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডের মাঝেই কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। কলেজ কাউন্সিলিংয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরিয়ে দেওয়া হল মেডিক্যাল কলেজের ডিন মানব নন্দীকে। তাঁর সঙ্গে বাকি 4 জন অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নেওয়া হল কঠোর সিদ্ধান্ত। এমনকী তাঁদের বিষয়েও স্বাস্থ্য ভবনেও জানাবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। তবে যতদিন না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে ততদিন তাঁরা বর্তমানে কোনও ক্লাস নিতে পারবেন না। এছাড়াও বাকি কলেজের যে যে দায়িত্ব তাঁরা পালন করতে পারবেন না।
গত জুন মাসে অভিযোগ উঠেছিল, এক ছাত্রীর কাছে হুমকি আসে। তাঁকে বলা হয়েছিল হস্টেল পেতে গেলে টিএমসিপি অর্থাৎ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতে হবে। যদি তা না-করেন তাহলে হস্টেল পাবেন না। পরবর্তী কালে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও জটিলতা সৃষ্টি হবে। এমনকী পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও পান ছাত্রী। এই অভিযোগের পরই ওই ছাত্রী কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ জানান। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এটি তদন্ত কমিটি গঠন করে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সেখানে 4 জন অধ্যাপক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসে। তাঁরা হলেন, চিকিৎসক সুহেনা সরকার, চিকিৎসক ইশিতা সেনগুপ্ত, চিকিৎসক তপন নস্কর এবং শমীকা বিশ্বাস। মেডিক্যাল কলেজের তদন্ত কমিটি এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে। গত শুক্রবার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দেয়। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে চারজন দোষী সাব্যস্ত হয়। এমনকী বলা হয় এই চারজনকে কোনও প্রশাসনিক দায়িত্বে রাখা যাবে না।
তবে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা জানান, তদন্ত কমিটি থেকে এই কথা বলার পরেও ডিন অফ স্টুডেন্ট একাধিকবার তাঁদেরকে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব দিয়েছেন। এমনকী এখনও বেশ কিছুজন দায়িত্বে রয়েছেন। সেই কথা গতকাল তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় স্বীকার করে নেন ডিন। এমনকী তাঁকেও উপমহল থেকে চাপ দেওয়া হত এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। সেইসব কথাই তিনি স্বীকার করে নেন গতকালের বৈঠকে। এরপরই শনিবার কলেজ কাউন্সিল বৈঠক হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে মানব নন্দীকে ডিন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।