হিঙ্গলগঞ্জ, 26 মে: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরা হল না দুই মায়ের। ঝড়-বৃষ্টির দাপটে ফেরিঘাটে এসেও আটকে গেলেন তাঁরা। সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের উদ্যোগে মা-সহ শিশু সন্তানদের পাঠানো হল নিরাপদ স্থানে। ঘটনাটি হিঙ্গলগঞ্জের লেবুখালি ফেরিঘাটের। দুর্যোগের দিনে সদ্যজাত সন্তানকে বুকে আঁকড়ে আতঙ্ক-হতাশার দোলাচলে মায়েরা ৷
জানা গিয়েছে, হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি এলাকায় বাড়ি ওই দুই মহিলার। দু'জনেই সম্পর্কে আত্মীয়। গত বৃহস্পতিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে দু'জনকে ভর্তি করা হয়েছিল বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ওদিনই সন্তানের জন্ম দেন তাঁরা। রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় দুই মহিলাকে। এরপর, একটি ভাড়া গাড়িতে দুই সদ্যজাত সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা রওনা হন বাড়ির দিকে। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের কয়েকজন সদস্যও। তাঁদের বাড়ি হিঙ্গলগঞ্জের কালিন্দী নদীর ওপারে ৷ ফলে ফেরিঘাটই একমাত্র ভরসা ৷ কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে বন্ধ ফেরি পরিষেবা ৷ ফলে লেবুখালি ফেরিঘাটে এসে ফেরি না পেয়ে সদ্যজাত সন্তান নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না দুই মায়ের।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ! চূড়ান্ত তৎপরতা পৌরনিগমে, ঘুরে দেখল ইটিভি ভারত
সূত্রের খবর, দীর্ঘক্ষণ ফেরিঘাটের সামনেই গাড়ির ভিতরে অপেক্ষা করতে থাকেন দুই মহিলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা তাঁদের নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার উপদেশ দেন ৷ ইতিমধ্যেই, বসিরহাট মহকুমার চারটি ব্লকের প্রায় 20 হাজার মানুষকে ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন ৷ ত্রাণ মজুত রাখা হয়েছে ৷ নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলিতে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: রেমালের প্রভাবে দিঘায় উত্তাল সমুদ্র, বাড়ল নজরদারি