ETV Bharat / state

সাগর-সহ জেলাজুড়ে রেমালের তাণ্ডব, ভাঙল গাছ-দোকান; দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ - CYCLONE REMAL HITS BENGAL

Cyclone Remal Update: সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে সকাল থেকেই ঘণ্টায় 80 থেকে 90 কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।

Cyclone Remal
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 27, 2024, 9:21 AM IST

দক্ষিণ 24 পরগনা, 27 মে: রবিবার মধ্যরাতে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মূল ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার পর সাগরদ্বীপ-সহ দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সোমবার ভোর থেকেই দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঝড়ো হওয়ার দাপটও।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব (নিজস্ব ভিডিয়ো)

সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে সকাল থেকেই ঘণ্টায় 80 থেকে 90 কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। রেমালের তাণ্ডবলীলায় দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় ভেঙে পড়েছে গাছ ৷ পাশাপাশি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগরদ্বীপ। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণে যে সব অস্থায়ী দোকান ছিল, সেসব দোকানই কার্যত ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙ্গে পড়েছে। এদিন সকাল থেকেই সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকায় যে সব জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল সেখানেও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল পৌঁছে গিয়েছে ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গাছ সরানোর কাজও শুরু করেছে তারা ৷ বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় সব ফেরি পরিষেবা এদিনও সম্পূর্ণ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে কাকদ্বীপ লট নম্বর 8 থেকে কচুবেড়িয়া ভেসেল পরিষেবাও।

আরও পড়ুন: রেমালের প্রভাবে প্রবল জলোচ্ছ্বাস হিঙ্গলগঞ্জে, ভাঙল নদী বাঁধ

বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সোমবার ভোর ছ'টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। বেলা গড়াতে অবশ্য সপ্তাহের প্রথম দিন সাতটা থেকে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে বলে খবর। তবে সুন্দরবনের বেশকিছু নদী বাঁধে ইতিমধ্যেই ফাটলও দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে নদীর নোনা জলও। নোনা জল ঢোকার কারণে চাষে ক্ষতির আশঙ্কাও দেখছে কৃষকরা। মৌসুনিদ্বীপ, সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। কার্যত বাঁধ উপছে নদীর জল প্রবেশ করছে গ্রামে। টানা বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকা এখনও জলমগ্ন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে এখনও পর্যন্ত সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ব্লক প্রশাসন সর্বদাই নজর রাখছে পরিস্থিতির উপর ৷ খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকার প্রায় 30 হাজার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয় জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা করতে।

আরও পড়ুন: আতঙ্কের রাত সুন্দরবনে, আছড়ে পড়ল রেমাল

দক্ষিণ 24 পরগনা, 27 মে: রবিবার মধ্যরাতে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মূল ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার পর সাগরদ্বীপ-সহ দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সোমবার ভোর থেকেই দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঝড়ো হওয়ার দাপটও।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব (নিজস্ব ভিডিয়ো)

সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে সকাল থেকেই ঘণ্টায় 80 থেকে 90 কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। রেমালের তাণ্ডবলীলায় দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় ভেঙে পড়েছে গাছ ৷ পাশাপাশি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগরদ্বীপ। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণে যে সব অস্থায়ী দোকান ছিল, সেসব দোকানই কার্যত ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙ্গে পড়েছে। এদিন সকাল থেকেই সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকায় যে সব জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল সেখানেও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল পৌঁছে গিয়েছে ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গাছ সরানোর কাজও শুরু করেছে তারা ৷ বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় সব ফেরি পরিষেবা এদিনও সম্পূর্ণ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে কাকদ্বীপ লট নম্বর 8 থেকে কচুবেড়িয়া ভেসেল পরিষেবাও।

আরও পড়ুন: রেমালের প্রভাবে প্রবল জলোচ্ছ্বাস হিঙ্গলগঞ্জে, ভাঙল নদী বাঁধ

বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সোমবার ভোর ছ'টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। বেলা গড়াতে অবশ্য সপ্তাহের প্রথম দিন সাতটা থেকে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে বলে খবর। তবে সুন্দরবনের বেশকিছু নদী বাঁধে ইতিমধ্যেই ফাটলও দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে নদীর নোনা জলও। নোনা জল ঢোকার কারণে চাষে ক্ষতির আশঙ্কাও দেখছে কৃষকরা। মৌসুনিদ্বীপ, সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। কার্যত বাঁধ উপছে নদীর জল প্রবেশ করছে গ্রামে। টানা বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকা এখনও জলমগ্ন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে এখনও পর্যন্ত সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ব্লক প্রশাসন সর্বদাই নজর রাখছে পরিস্থিতির উপর ৷ খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকার প্রায় 30 হাজার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয় জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা করতে।

আরও পড়ুন: আতঙ্কের রাত সুন্দরবনে, আছড়ে পড়ল রেমাল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.