ETV Bharat / state

‘ডিজিটাল গ্রেফতারির’ ভয় দেখিয়ে 3 কোটির প্রতারণা, ভিনরাজ্য থেকে গ্রেফতার দুই - Digital Arrest

Digital Arrest: কলকাতার এক ব্যবসায়ীর ছেলেকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতারির’ ভয় দেখিয়ে 3 কোটির প্রতারণার অভিযোগ ৷ পরে আরও টাকা দাবি ৷ তখন কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যবসায়ী ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ ভিনরাজ্য থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ৷

Kolkata Police
লালবাজার (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 22, 2024, 7:36 PM IST

কলকাতা, 22 জুন: খাস কলকাতায় এবার ‘ডিজিটাল গ্রেফতারির’ নামে প্রতরণা । সাইবার দস্যুদের খপ্পরে পড়ে তিন কোটি টাকা খোয়ালেন কলকাতার এক ব্যবসায়ীর ছেলে । পরে আরও টাকা চাওয়া হলে তাঁরা বাধ্য হয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন । তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের গোয়েন্দারা । পরে দিল্লি থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের গোয়েন্দারা । হরিয়ানায় একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে । তাদের নাম সচিন কুমার ও দীপক কুমার । তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক মোবাইল ফোনের সিম কার্ড ও বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ ।

লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতার এক ব্যবসায়ীর ছেলেকে দিল্লি পুলিশের নাম করে একটি ইমেল পাঠানো হয় ৷ ইমেলে একটি চিঠি ছিল ৷ চিঠিতে লেখা ওই ব্যবসায়ীর ছেলের নামে একটি মাদক মামলা রয়েছে । ওই ব্যবসায়ীর ছেলেকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করা হল ৷ পরে কলকাতায় এসে হেফাজতে নেওয়া হবে ৷

লালবাজার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পরে অবশ্য জানানো হয় যে তিন কোটি টাকার বিনিময়ে গ্রেফতারি এড়ানো যেতে পারে ৷ ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলের তরফে সাইবার দস্যুদের তিন কোটি টাকা দেওয়া হয় । কিন্তু পরে ফের ওই ব্যবসায়ীর ছেলেকে ভয় দেখিয়ে আরও টাকা দাবি করা হয় ৷ তখনই তাঁরা লালবাজারের সাইবার সেলের গোয়েন্দা দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান । তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা শনিবার ভোরে হরিয়ানা থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ৷ ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে চাইছে যে ওই তিন কোটি টাকা কোথায় গেল ? এছাড়াও এই দুই অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে আর কারাকারা যুক্ত রয়েছে ?

যদিও এই ঘটনায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ ঘিরে ? কী এটা ? সত্যিই কাউকে এভাবে গ্রেফতার করা যায় ? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘কোনও মানুষকে আইনি কাগজপত্র পাঠিয়ে তাঁকে আইন মেনে থানায় বা আদালতে ডেকে পাঠানো যায় । কিন্তু ডিজিটাল গ্রেফতার করা যায় না ।’’

অন্যদিকে সাইবার এক্সপার্ট এথ্যিকাল হ্যাকার রেজা আহম্মেদ ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘এই মোডাস অপারেন্ডি অনেক পুরনো । কিন্তু তারা চিঠি পাঠিয়ে যে ডিজিটাল গ্রেফতার এর বিষয়টি লিখেছেন সেটি একে বারে নতুন । আমাদের সাইবার জগতে ডিজিটাল গ্রেফতার বলে সেই ভাবে কিছু নেই । হয়তো সাইবার দস্যুরা সাধারণ মানুষের কাছে এই ধরনের চিঠি পাঠিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করতে চায় ।’’

কলকাতা, 22 জুন: খাস কলকাতায় এবার ‘ডিজিটাল গ্রেফতারির’ নামে প্রতরণা । সাইবার দস্যুদের খপ্পরে পড়ে তিন কোটি টাকা খোয়ালেন কলকাতার এক ব্যবসায়ীর ছেলে । পরে আরও টাকা চাওয়া হলে তাঁরা বাধ্য হয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন । তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের গোয়েন্দারা । পরে দিল্লি থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের গোয়েন্দারা । হরিয়ানায় একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে । তাদের নাম সচিন কুমার ও দীপক কুমার । তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক মোবাইল ফোনের সিম কার্ড ও বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ ।

লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতার এক ব্যবসায়ীর ছেলেকে দিল্লি পুলিশের নাম করে একটি ইমেল পাঠানো হয় ৷ ইমেলে একটি চিঠি ছিল ৷ চিঠিতে লেখা ওই ব্যবসায়ীর ছেলের নামে একটি মাদক মামলা রয়েছে । ওই ব্যবসায়ীর ছেলেকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করা হল ৷ পরে কলকাতায় এসে হেফাজতে নেওয়া হবে ৷

লালবাজার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পরে অবশ্য জানানো হয় যে তিন কোটি টাকার বিনিময়ে গ্রেফতারি এড়ানো যেতে পারে ৷ ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলের তরফে সাইবার দস্যুদের তিন কোটি টাকা দেওয়া হয় । কিন্তু পরে ফের ওই ব্যবসায়ীর ছেলেকে ভয় দেখিয়ে আরও টাকা দাবি করা হয় ৷ তখনই তাঁরা লালবাজারের সাইবার সেলের গোয়েন্দা দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান । তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা শনিবার ভোরে হরিয়ানা থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ৷ ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে চাইছে যে ওই তিন কোটি টাকা কোথায় গেল ? এছাড়াও এই দুই অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে আর কারাকারা যুক্ত রয়েছে ?

যদিও এই ঘটনায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ ঘিরে ? কী এটা ? সত্যিই কাউকে এভাবে গ্রেফতার করা যায় ? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘কোনও মানুষকে আইনি কাগজপত্র পাঠিয়ে তাঁকে আইন মেনে থানায় বা আদালতে ডেকে পাঠানো যায় । কিন্তু ডিজিটাল গ্রেফতার করা যায় না ।’’

অন্যদিকে সাইবার এক্সপার্ট এথ্যিকাল হ্যাকার রেজা আহম্মেদ ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘এই মোডাস অপারেন্ডি অনেক পুরনো । কিন্তু তারা চিঠি পাঠিয়ে যে ডিজিটাল গ্রেফতার এর বিষয়টি লিখেছেন সেটি একে বারে নতুন । আমাদের সাইবার জগতে ডিজিটাল গ্রেফতার বলে সেই ভাবে কিছু নেই । হয়তো সাইবার দস্যুরা সাধারণ মানুষের কাছে এই ধরনের চিঠি পাঠিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করতে চায় ।’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.