ETV Bharat / state

পুলিশি নজর এড়াতে টেলিগ্রামে বার্তালাপ জঙ্গিদের, কী বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ - CYBER CRIME VIA TELEGRAM APPS

Cyber Crime Via Telegram: পুলিশের সন্দেহ এড়াতে বা তথ্য যাতে তাদের হাতে না যায় তার জন্য নাকি জঙ্গিরা এখন টেলিগ্রাম ব্যবহার করে ৷ বিষয়টি নিয়ে ইটিভি ভারতকে আর কী জানালেন সাইবার বিশেষজ্ঞ ?

Telegram
টেলিগ্রামের মাধ্যমে বাড়ছে জঙ্গি কার্যকলাপ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 25, 2024, 8:15 AM IST

কলকাতা, 24 জুন: জঙ্গি সন্দেহে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থেকে হাবিবুল্লা শেখ নামে কম্পিউটার সায়েন্সের এক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা । কলকাতায় ভবানী ভবনে এনে ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে । তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করেছেন গোয়েন্দারা ৷ আর গোয়েন্দাদের এই জেরায় উঠে এসেছে 'গোবড়া গ্যাং' এর নাম। জেরায় জানা গিয়েছে, এই গ্যাংয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত টেলিগ্রামে কথা বলত ধৃত হাবিবুল্লাহ শেখ । এছাড়াও একাধিক নতুন জঙ্গিদের নাম ও পরিচয় পাওয়া গিয়েছে ধৃতের কাছ থেকে ।

জানুন সাইবার বিশেষজ্ঞের মতামত (নিজস্ব ভিডিয়ো)

এই গোবড়া গ্যাং কী, কারা যুক্ত এই দলের সঙ্গে ?

উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা প্রতিনিয়তই বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন । জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসাউল্লা টিমের সক্রিয় সদস্য সালাউদ্দিনের সঙ্গে টেলিগ্রামের মাধ্যমে কথা হত হাবিবুল্লার ।

বিষয়টি নিয়ে জানতে সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ তথা এথিক্যাল হ্যাকার রেজা আহম্মেদের সঙ্গে কথা বলে ইটিভি ভারত ৷ সেখানে তিনি বলেন, "এই টেলিগ্রাম হল একটি ডিপওয়েব । টেলিগ্রামের ডেটা গুগলে যায় না । এটা অপরাধের একটা ভালো জায়গা । এর মাধ্যমে ছবি আদানপ্রদান তেমন হয় না । কিছু ব্ল্যাক মার্কেট রয়েছে জঙ্গিরা সেখানে টেলিগ্রামের সাহায্যে নিজেদের টাকা আদান-প্রদান করে ৷ যার তথ্য হাতে পাবে না পুলিশ । এটি মূলত ক্রিপটো কারেন্সিতে টাকা আদান-প্রদান করা হয় ।"

‘ডিজিটাল গ্রেফতারির’ ভয় দেখিয়ে 3 কোটির প্রতারণা, ভিনরাজ্য থেকে গ্রেফতার দুই

আর এই সালাউদ্দিন নিজেও একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানতে পেরেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ৷ পাশাপাশি এই জঙ্গি সন্দেহে ধৃত পড়ুয়ার থেকে এমন কিছু তথ্য মিলেছে যেখান থেকে একপ্রকার স্পষ্ট যে আফগানি একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে এই পড়ুয়ার সরাসরি যোগাযোগ ছিল । এই ঘটনায় নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, হাবিবুল্লা শেখের কাছ থেকে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে যেখান থেকে এটি একটি স্পষ্ট ধারণা দেয় যে এই যুবক এবং আরও বেশ কয়েকজন জঙ্গি নেতা মিলে একত্রিত হয়ে তালিবানি ও আফগানিস্তানের আদলে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করার একটি পরিকল্পনা করছিল । এমনকি সেই জঙ্গি সংগঠনের একটি নতুন পতাকার ডিজাইনও করা হয় ৷

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বর্ধমান পুলিশের হাতেও বেশ কয়েকজন যুবক গ্রেফতার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা খুব সম্ভবত জঙ্গি সন্দেহ গ্রেফতার হওয়া হাবিবুল্লাহ শেখকে নিয়ে বর্ধমানের কাঁকসা থানার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাতে পারে ।

ডিজিটাল প্রতারণা থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় সতর্কতা অবলম্বন করা

কলকাতা, 24 জুন: জঙ্গি সন্দেহে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থেকে হাবিবুল্লা শেখ নামে কম্পিউটার সায়েন্সের এক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা । কলকাতায় ভবানী ভবনে এনে ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে । তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করেছেন গোয়েন্দারা ৷ আর গোয়েন্দাদের এই জেরায় উঠে এসেছে 'গোবড়া গ্যাং' এর নাম। জেরায় জানা গিয়েছে, এই গ্যাংয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত টেলিগ্রামে কথা বলত ধৃত হাবিবুল্লাহ শেখ । এছাড়াও একাধিক নতুন জঙ্গিদের নাম ও পরিচয় পাওয়া গিয়েছে ধৃতের কাছ থেকে ।

জানুন সাইবার বিশেষজ্ঞের মতামত (নিজস্ব ভিডিয়ো)

এই গোবড়া গ্যাং কী, কারা যুক্ত এই দলের সঙ্গে ?

উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা প্রতিনিয়তই বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন । জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসাউল্লা টিমের সক্রিয় সদস্য সালাউদ্দিনের সঙ্গে টেলিগ্রামের মাধ্যমে কথা হত হাবিবুল্লার ।

বিষয়টি নিয়ে জানতে সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ তথা এথিক্যাল হ্যাকার রেজা আহম্মেদের সঙ্গে কথা বলে ইটিভি ভারত ৷ সেখানে তিনি বলেন, "এই টেলিগ্রাম হল একটি ডিপওয়েব । টেলিগ্রামের ডেটা গুগলে যায় না । এটা অপরাধের একটা ভালো জায়গা । এর মাধ্যমে ছবি আদানপ্রদান তেমন হয় না । কিছু ব্ল্যাক মার্কেট রয়েছে জঙ্গিরা সেখানে টেলিগ্রামের সাহায্যে নিজেদের টাকা আদান-প্রদান করে ৷ যার তথ্য হাতে পাবে না পুলিশ । এটি মূলত ক্রিপটো কারেন্সিতে টাকা আদান-প্রদান করা হয় ।"

‘ডিজিটাল গ্রেফতারির’ ভয় দেখিয়ে 3 কোটির প্রতারণা, ভিনরাজ্য থেকে গ্রেফতার দুই

আর এই সালাউদ্দিন নিজেও একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানতে পেরেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ৷ পাশাপাশি এই জঙ্গি সন্দেহে ধৃত পড়ুয়ার থেকে এমন কিছু তথ্য মিলেছে যেখান থেকে একপ্রকার স্পষ্ট যে আফগানি একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে এই পড়ুয়ার সরাসরি যোগাযোগ ছিল । এই ঘটনায় নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, হাবিবুল্লা শেখের কাছ থেকে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে যেখান থেকে এটি একটি স্পষ্ট ধারণা দেয় যে এই যুবক এবং আরও বেশ কয়েকজন জঙ্গি নেতা মিলে একত্রিত হয়ে তালিবানি ও আফগানিস্তানের আদলে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করার একটি পরিকল্পনা করছিল । এমনকি সেই জঙ্গি সংগঠনের একটি নতুন পতাকার ডিজাইনও করা হয় ৷

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বর্ধমান পুলিশের হাতেও বেশ কয়েকজন যুবক গ্রেফতার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা খুব সম্ভবত জঙ্গি সন্দেহ গ্রেফতার হওয়া হাবিবুল্লাহ শেখকে নিয়ে বর্ধমানের কাঁকসা থানার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাতে পারে ।

ডিজিটাল প্রতারণা থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় সতর্কতা অবলম্বন করা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.