কলকাতা, 20 জুলাই: তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ রবিবার। এক কথায় রাজ্যের শাসকদলের বাৎসরিক মেগা শো। এই মুহূর্তে একুশে জুলাই সামনে রেখে ধর্মতলা চত্বরের চূড়ান্ত ব্যস্ততা। মূল অনুষ্ঠানের আগে চলছে শেষ তুলির টান। ভিড় জমতে শুরু করেছে শহরে ৷ শহরের একাধিক জায়গায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কলকাতা ও তার লাগোয়া শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় এই শিবিরগুলি ঘুরে দেখল ইটিভি ভারত। তৃণমূল কর্মী-সমর্থদের জন্য এমনই এক শিবির তৈরি হয়েছে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। শনিবার সেই শিরিরে ঢুঁ দিল ইটিভি ভারত ৷ এবার লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে ভালো ফল করেছে শাসকদল । তারপর থেকেই গত কয়েকদিন ধরে শাসকদলের নেতৃত্ব দাবি করছে এবার ধর্মতলায় রেকর্ড ভিড় হবে। বৃহস্পতিবার থেকেই দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। মূলত এখানে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
শনিবার দুপুরে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল ইতিমধ্যেই সেখানে হাজার দুয়েক মানুষ এসে গিয়েছেন। যাঁরা এসেছেন তাঁদের অধিকাংশই দূরবর্তী জেলার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, এদের কারও বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর, কেউ এসেছেন মুর্শিদাবাদ থেকে। কর্মী-সমর্থকদের থাকা খাওয়ার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাও করেছে দল। এদিন দুপুরে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে খাওয়ার মেনুতে ছিল ডাল, ভাত, সবজি এবং ডিমের ঝোল।
শুধু থাকা খাওয়া নয়, এখানে আসা তৃণমূল কর্মীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়াও ছোটখাটো চিকিৎসার জন্য থাকছেন তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক সেলের কর্মীরা। কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর সন্দীপ বক্সী জানান, বৃহস্পতিবার থেকে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। যতটুকু আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে এদিন বিকেলের পর থেকে ভর্তি হয়ে যাবে এই দুটি জায়গা। আগামিকাল রবিবার ধর্মতলার রাজপথে তিল ধারনের জায়গা থাকবে না। রেকর্ড জমায়েত দেখবে বাংলা।