কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহান এখনও ফেরার ৷ 5 জানুয়ারির পর থেকে এখনও পর্য়ন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি ৷ তবে আজ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়ায় জানান, শাহজাহান দ্রুত গ্রেফতার হবে ৷ উত্তপ্ত সন্দেশখালি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, "অন্ধকার সুড়ঙ্গ শেষে আলোর দিশা মানুষ খুব তাড়াতাড়ি দেখবে ৷ দ্রুত ধরা পড়বে শেখ শাহজাহান ৷" তাঁর এই মন্তব্যের পালটা প্রশ্ন তোলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ শুক্রবার তিনি প্রশ্ন করেন, "শেখ শাহজাহান রাজভবনে নেই তো ?"
রাজ্যপালের দাবিকে কটাক্ষ করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "এত দিন ভাবছিলাম পুলিশের সুড়ঙ্গে শাহজাহান লুকিয়ে রয়েছে ৷ এখন দেখছি সেন্ট্রাল এজেন্সি এবং স্টেট এজেন্সি দু'জনে মিলে শাহজাহানকে আশ্রয় দিচ্ছে ৷ আগে মনে হচ্ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোথাও লুকিয়ে রেখেছেন ৷ এখন মনে হচ্ছে রাজ্যপাল তাঁর রাজভবনে লুকিয়ে রাখেননি তো ?" সেলিম আরও বলেন, "এত দিন অত্যাচারিত মানুষজন বিচার পায়নি ৷ আজ পুলিশ বলছে বিচার দেব, আইন হাতে তুলবেন না ৷ মমতার পাঠানো ডিজি রাজীব কুমারকে এলাকার সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করছে না ৷"
5 জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় ইডি ৷ সেদিন তাকে পাননি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের আধিকারিকরা ৷ উলটে তাঁদের উপর চড়াও হয় শাহজাহানের অনুগামীরা ৷ তার দলবলের হাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা । এরপর থেকে আর শাহজাহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ এখনও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি ৷
এরপর এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়ে তার দুই ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা ও উত্তম সরদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ প্রশাসন ৷ জমি লুট থেকে মহিলাদের উপর অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে একে একে রাস্তায় নেমেছে ৷ তবে মূল পাণ্ডা শেখ শাহজাহান এখনও অধরা ৷ শুক্রবারও সন্দেশখালির বিভিন্ন অংশে জনরোষ দেখা যায় ৷ কোথাও পুড়িয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতার ভেড়ির ঘর ৷ কোথাও রাস্তায় গাছ কেটে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয় ৷ মহিলারা ঝাঁটা, লাঠি হাতে সন্দেশখালির রাস্তায় বেরিয়ে আসেন ৷
আরও পড়ুন: