ETV Bharat / state

কেন্দ্রীয় 3 আইনের প্রতিবাদে কর্মবিরতি আইনজীবীদের, শুনানি স্তব্ধ রাজ্যজুড়ে - Lawyers strike protesting BNS

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 1, 2024, 6:31 PM IST

Lawyers' strike protesting BNS: কেন্দ্রীয় তিন আইন কার্যকর হওয়ার প্রতিবাদে আজ দিনভর বিভিন্ন আদালতে কর্মবিরতি পালন করলেন আইনজীবীদের একাংশ ৷ তার ফলে কলকাতা হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতগুলিতে শুনানি একপ্রকার স্তব্ধই রইল ৷ আদালত চত্বরে মিছিলও বের করেন আইনজীবীরা ৷

ETV BHARAT
কেন্দ্রীয় তিন আইনের প্রতিবাদে কর্মবিরতি আইনজীবীদের (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 1 জুলাই: কেন্দ্রীয় তিন আইন কার্যকর হওয়ার প্রতিবাদে মাসের প্রথম দিনে কর্মবিরতি পালন করলেন কলকাতা হাইকোর্ট ও রাজ্যের নিম্ন আদালতগুলির আইনজীবীরা ৷ তার ফলে এদিন সেভাবে কোনও মামলার শুনানিই হল না ৷ ব্যাহত হল আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম ৷

কেন্দ্রীয় তিন আইনের প্রতিবাদে আজ রাজ্য বার কাউন্সিলের ডাকে কলকাতা হাইকোর্টে কর্মবিরতি পালন করা হয় ৷ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম-সহ অন্যান্য কোনও বিচারপতির বেঞ্চেই মামলার শুনানি হয়নি । সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বিচারপতি অমৃতা সিনহা, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, বিচারপতি হরীশ ট্যান্ডন-সহ অন্যান্য বিচারপতিরা এজলাসে আসার পর মামলার তালিকা অনুযায়ী শুনানির জন্য ডাকলেও রাজ্যের শাসক দলপন্থী আইনজীবীরা শুনানিতে অংশগ্রহণ করেননি ৷ তার ফলে বিচারপতিরা কিছু সময় পরই এজলাস ছেড়ে উঠে যান । ফলে এদিন তেমন ভাবে কোনও মামলারই শুনানি হয়নি ৷

আজ থেকে গোটা দেশে কার্যকর করা হয়েছে নতুন সংশোধিত তিন কেন্দ্রীয় আইন । 1860 সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-এর পরিবর্তে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, 1898 সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি বিধি)-এর পরিবর্তে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং 1872 সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন)-এর বদলে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’ কার্যকর হয়েছে ।

যদিও রাজ্য বার কাউন্সিলের বক্তব্য, "কেন্দ্রের এই আইন সংস্কারের আগে প্রতিটি রাজ্যের বার কাউন্সিলগুলির সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল । কিন্তু তা করা হয়নি । এই আইনে আইনজীবী থেকে সাধারণ মানুষ কারও উপকার হবে না।" সেই জন্য এদিন গোটা রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতি পালন করছেন রাজ্যের শাসকদলের সমর্থক আইনজীবীরা । তাঁদের আশংকা, নতুন কেন্দ্রীয় আইনে পুলিশকে অপরিসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে । তাতে সাধারণ মানুষ আগামীদিনে বিপদে পড়তে পারেন ৷ ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷

যদিও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানালেন, "যে আইনের সংশোধন করা হয়েছে তা ব্রিটিশ সরকারের তৈরি করা আইন ।ব্রিটিশ সরকার নিজের সুবিধার জন্য এই আইন প্রণয়ন করেছিল । এখন নেচার অফ ক্রাইম অর্থাৎ অপরাধের ধরনে বদল ঘটেছে । পাশাপাশি বিচারের যে দীর্ঘসুত্রিতা, সেটা কমবে । মানুষ দ্রুত বিচার পাবে বলে আমার মনে হয় । ফলে এই আইন সংশোধন সাধুবাদ যোগ্য ।"

একই ইস্যুতে আজ মালদাতেও কর্মবিরতিতে সামিল হন আইনজীবীরা । আজ দুপুরে আইনজীবীরা আদলত চত্বরে একটি প্রতিবাদ মিছিলও বের করেন । কর্মবিরতি পালিত হয় ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতেও ৷ নতুন আইন বাতিলের দাবিতে পথেও নামেন ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা । জলপাইগুড়ি জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও আজ জলপাইগুড়ি আদালতে এই নতুন আইনের প্রতিবাদে মিছিল করা হয় ।

কলকাতা, 1 জুলাই: কেন্দ্রীয় তিন আইন কার্যকর হওয়ার প্রতিবাদে মাসের প্রথম দিনে কর্মবিরতি পালন করলেন কলকাতা হাইকোর্ট ও রাজ্যের নিম্ন আদালতগুলির আইনজীবীরা ৷ তার ফলে এদিন সেভাবে কোনও মামলার শুনানিই হল না ৷ ব্যাহত হল আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম ৷

কেন্দ্রীয় তিন আইনের প্রতিবাদে আজ রাজ্য বার কাউন্সিলের ডাকে কলকাতা হাইকোর্টে কর্মবিরতি পালন করা হয় ৷ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম-সহ অন্যান্য কোনও বিচারপতির বেঞ্চেই মামলার শুনানি হয়নি । সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বিচারপতি অমৃতা সিনহা, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, বিচারপতি হরীশ ট্যান্ডন-সহ অন্যান্য বিচারপতিরা এজলাসে আসার পর মামলার তালিকা অনুযায়ী শুনানির জন্য ডাকলেও রাজ্যের শাসক দলপন্থী আইনজীবীরা শুনানিতে অংশগ্রহণ করেননি ৷ তার ফলে বিচারপতিরা কিছু সময় পরই এজলাস ছেড়ে উঠে যান । ফলে এদিন তেমন ভাবে কোনও মামলারই শুনানি হয়নি ৷

আজ থেকে গোটা দেশে কার্যকর করা হয়েছে নতুন সংশোধিত তিন কেন্দ্রীয় আইন । 1860 সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-এর পরিবর্তে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, 1898 সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি বিধি)-এর পরিবর্তে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং 1872 সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন)-এর বদলে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’ কার্যকর হয়েছে ।

যদিও রাজ্য বার কাউন্সিলের বক্তব্য, "কেন্দ্রের এই আইন সংস্কারের আগে প্রতিটি রাজ্যের বার কাউন্সিলগুলির সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল । কিন্তু তা করা হয়নি । এই আইনে আইনজীবী থেকে সাধারণ মানুষ কারও উপকার হবে না।" সেই জন্য এদিন গোটা রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতি পালন করছেন রাজ্যের শাসকদলের সমর্থক আইনজীবীরা । তাঁদের আশংকা, নতুন কেন্দ্রীয় আইনে পুলিশকে অপরিসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে । তাতে সাধারণ মানুষ আগামীদিনে বিপদে পড়তে পারেন ৷ ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷

যদিও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানালেন, "যে আইনের সংশোধন করা হয়েছে তা ব্রিটিশ সরকারের তৈরি করা আইন ।ব্রিটিশ সরকার নিজের সুবিধার জন্য এই আইন প্রণয়ন করেছিল । এখন নেচার অফ ক্রাইম অর্থাৎ অপরাধের ধরনে বদল ঘটেছে । পাশাপাশি বিচারের যে দীর্ঘসুত্রিতা, সেটা কমবে । মানুষ দ্রুত বিচার পাবে বলে আমার মনে হয় । ফলে এই আইন সংশোধন সাধুবাদ যোগ্য ।"

একই ইস্যুতে আজ মালদাতেও কর্মবিরতিতে সামিল হন আইনজীবীরা । আজ দুপুরে আইনজীবীরা আদলত চত্বরে একটি প্রতিবাদ মিছিলও বের করেন । কর্মবিরতি পালিত হয় ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতেও ৷ নতুন আইন বাতিলের দাবিতে পথেও নামেন ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা । জলপাইগুড়ি জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও আজ জলপাইগুড়ি আদালতে এই নতুন আইনের প্রতিবাদে মিছিল করা হয় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.