কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি: মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে কড়া পদক্ষেপ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই মালদায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দু'জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে দিল পর্ষদ । মালদহের দু'টি স্কুলের দু'জন পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করে কড়া ব্যবস্থা নিল পর্ষদ ।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, "নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই দু'জন পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করেছি । সেই দু'জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে ।"
আজ থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা । পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশেরই প্রথম ভাষা বাংলা । আজ সকাল পৌনে দশটা থেকে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের ৷ দশটা থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষা । কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টার মধ্যেই সমাজমাধ্যমে বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠে আসে । পরবর্তীকালে এই প্রশ্ন মিলে যেতেও দেখা গিয়েছে । তখনই প্রশ্ন ওঠে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে । কারণ এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অন্যতম বিষয় হল 'কিউআর কোড'। প্রত্যেকটা প্রশ্নপত্রে রয়েছে এই কিউআর কোড । যা স্ক্যান করলেই কোথা থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে তা প্রকাশ্যে চলে আসবে ।
এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে দু'জন পরীক্ষার্থীকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শনাক্ত করেছে । এ দিন পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি এলাকার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে দেখা যায়, মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রেখে উত্তর তৈরি করছেন অনেকে ৷ এরপরেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই ছবি, আর দাবি করা হয় যে, মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে ৷ কিছু প্রশ্নপত্রও সোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে ৷
এই ছবি সমাজমাধ্যমে দেখার পরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৎপর ভূমিকা পালন করে । কিউআর কোড স্ক্যান করে কোন পরীক্ষার্থী এই ছবি তুলেছে, তা বের করা হয়েছে । পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, "পরীক্ষা শুরুর বেশ কিছুক্ষণ পর সমাজ মাধ্যমে প্রশ্নের ছবি বেরিয়ে পড়ে । রায়গ্রাম হাইস্কুল ইংলিশ বাজার 3, বেদদ্রাবাদ হাইস্কুল লখিমপুর 6 - এই দুটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন দু'জন ছাত্র । দু'জনই মালার নঘড়িয়া এবং চামাকগ্রাম হাইস্কুলের ছাত্র । তাঁদের পরীক্ষা এ বছরের মতো বাতিল করা হয়েছে ।"
নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে অনেকে বিরাট সাফল্য বললেও, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি, যখন প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা একেবারেই ঘটবে না, তখনই তাকে সাফল্য বলা যাবে ৷
এ দিকে, পুরুলিয়া এবং মালদা থেকে দু'জন পরীক্ষার্থীর কাছে আজ মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে । একজনের থেকে স্মার্ট ওয়াচ পাওয়া গিয়েছে । এই তিনজনের পরীক্ষাও আজকের জন্য বাতিল করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: