কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: বিধানসভায় পাস হওয়া অপরাজিতা বিলের কপি পাঠানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ৷ পাশাপাশি বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
শুধু বিল পাস করে রাজভবনের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস ৷ আর সে কারণেই মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া 'দ্য অপরাজিতা ওম্যান অ্যান্ড চাইল্ড বিল 2024'-এর কপি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও পাঠাচ্ছে রাজ্য বিধানসভা ৷ বিধানসভা সূত্রে এমনটাই খবর ৷ যতদূর জানা যাচ্ছে, বিধানসভার তরফ থেকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই মর্মে একটি চিঠি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে। সেই চিঠির সঙ্গে বিধানসভায় পাস হওয়া অপরাজিতা বিলের একটি কপি তাঁর অবগতির জন্য পাঠানো হচ্ছে ৷ একই সঙ্গে তা দ্রুত কার্যকর করার জন্য রাজ্য বিধানসভার তরফ থেকেও অনুরোধ করা হচ্ছে বলেই খবর।
তবে শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, এই বিলের কপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও পাঠানো হচ্ছে ৷ পরিষদীয় রীতিনীতি অনুযায়ী সাধারণত বিধানসভায় যে কোন বিল পাস হলেই তা সরাসরি পাঠানো হয় রাজভবনে, রাজ্যপালের স্বাক্ষরের জন্য। রাজ্যপাল চাইলে ওই বিল স্বাক্ষর করে আইনে রূপদান করার জন্য স্বীকৃতি দিতে পারে ৷ অথবা তিনি চাইলে বিল সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোন ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ চাইতেই পারেন। প্রয়োজনে সেটা রাজ্য সরকারের কাছে ফেরত পাঠাতে পারেন।
একইভাবে রাজ্যপাল যদি মনে করেন এই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে রাষ্ট্রপতি ভবনেও তা পাঠাতে পারেন। এমনটাই সাংবিধানিক পদ্ধতি ৷ তবে প্রধানমন্ত্রীকে বিলের কপি পাঠালেও রাজ্যপালকে উপেক্ষা করা হচ্ছে না ৷ মনে করা হচ্ছে, যেহেতু এই বিল শাসক ও বিরোধী উভয়পক্ষই সর্বসম্মতভাবে রাজ্য বিধানসভায় সমর্থন করেছে ৷ সেক্ষেত্রে রাজভবন থেকে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এই বিলের অনুমোদনে সময় লেগে যেতে পারে ৷ আগে থেকেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর অবগত থাকলে, পুরো প্রক্রিয়ার দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব ৷ মূলত এই কারণেই সেই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে ৷ বিধানসভা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় বিল অনুমোদনের পর প্রক্রিয়াগতভাবে যা করণীয় তাই করা হয়েছে ৷ অর্থাৎ এটি সরাসরি রাজভবনেই পাঠানো হয়েছে ৷