কলকাতা, 29 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ভাইরাল হওয়া অডিয়ো ক্লিপকে হাতিয়ার করে হাসপাতালের ঘাড়েই দায় ঠেলে দিল কলকাতা পুলিশ ৷ তাদের দাবি, ওই তিনটি অডিয়ো ক্লিপেই প্রমাণিত যে, পুলিশের তরফে আগে মৃতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি ৷ আত্মহত্যার কথাও বলা হয়নি ৷
লালবাজারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সাফ জানিয়ে দিলেন, আরজিকর-কাণ্ডে যে অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, তা থেকে এটা স্পষ্ট প্রমাণিত যে, 9 অগস্ট মৃতার পরিবারের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ তার আগে পুলিশের তরফে তাদের সঙ্গে কোনও রকম ভাবে যোগাযোগ করা হয়নি । চিকিৎসক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাঁর সঙ্গে অন্য কোনও ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে মৃতার পরিবারকে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি ৷ ডিসি সেন্ট্রাল আরও বলেন, অডিয়ো ক্লিপ থেকে এটিও স্পষ্ট যে, হাসপাতালের তরফ থেকেই মৃতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে একাধিকবার বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়া হয় ।
পাশাপাশি এদিন মৃতার দেহ ঢেকে রাখা চাদর পরিবর্তন প্রসঙ্গে যে চর্চা চলছে, সে বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা নীল রঙের চাদরই পেয়েছি । এখানে কোনও রকমের লাল, সবুজ কিংবা অন্য রঙের চাদর ছিল না । তবে একটি লাল রঙের চাদর আমরা বাজেয়াপ্ত করেছিলাম । খুব সম্ভবত সেই লাল রঙের চাদরটি ব্যবহার করা হয়নি ।"
আরজি কর-কাণ্ডে মৃত চিকিৎসকের দেহ নীল কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল । তবে তাঁর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, যখন তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর তাঁদের মেয়েকে হাসপাতালের তরফ থেকে তাঁদেরকে দেখানো হয়, তখন মেয়ের গায়ে অন্য রঙের চাদর ছিল ৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা আজ আরজি কর হাসপাতালের মর্গে ভালোভাবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন । পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালে বর্তমান সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও পৃথকভাবে কথা বলেন গোয়েন্দারা ।