বাঁকুড়া, 28 ফেব্রুয়ারি: পদ্ম শিবিরে টালমাটাল ৷ বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডা: সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা । সম্প্রতি একটি অডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
ভাইরাল হওয়া অডিওতে শোনা গিয়েছে (যদিও সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা বিচার করেনি ইটিভি ভারত) এক ব্যক্তিকে ফোনের এপার থেকে বলছেন "আমাদের সাংসদ তথা মন্ত্রী চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে পর্যন্ত তোলা আদায় করেন ৷ ভদ্রতার মুখোশের আড়ালে তিনি সর্বত্রই এমনটা করে চলেছেন"। অডিয়ো ক্লিপটির কণ্ঠ বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার সঙ্গে মিলে গিয়েছে । শুধু তাই নয় ওই ব্যক্তিকে লোকসভায় প্রার্থী পদ সম্পর্কেও বলতে শোনা গিয়েছে। মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে, "একবার শুধু নীলাদ্রির নামটা ঘোষণা হয়ে যাক, তারপর ভোট হবে। কিন্তু সেই জায়গায় লকেট বা সুভাষদাকে দিলে কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না ।"
লোকসভা ভোটের আগে এই অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে গেরুয়া শিবির। ওই অডিয়ো ক্লিপে শুধু সাংসদ সুভাষ সরকার নয় দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সম্পর্কেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে ৷ বিভিন্ন মহলে শোনা যাচ্ছে, "শুধু মোদির হাওয়াতে ভোটে জেতা যাবে না। ভোটে জিততে হলে দলীয় কর্মীদের চাই। সুকান্ত মজুমদার বাঁকুড়ার মাটিতে কতটা ছিলেন, ক'বার তিনি বাঁকুড়ায় এসেছেন ।"
2023-এর পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পরই সুভাষ সরকারকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল দল। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির দলীয় কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ৷ এমনকী, কয়েক মাস আগে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারকে নিজের দলের কর্মীরাই জেলা বিজেপি কার্যালয়ে তালা বন্দিও করেছিলেন । লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে বিজেপির অন্তরকলহ। লোকসভা ভোটের আগে এই ধরনের ঘটনা ভোটব্যাংকে কি কোন প্রভাব পড়বে ? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ।
আরও পড়ুন: