বৈদ্যবাটি, 15 নভেম্বর: কার্তিক পুজো উপলক্ষ্যে টাকা চাইছেন তৃণমূল কাউন্সিলর ! তবে চাঁদার স্লিপ বা অন্য কোনও নথি দেখিয়ে নয় ৷ বরং, পুরসভার প্যাডে লিখেই খরচ চাইলেন ৷ সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও করলেন সেই ছবি ৷
হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভার 19 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পৌষালী ভট্টাচার্যের সেই ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পুরসভা ও তৃণমূল নেতৃত্বকে । একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে পুরসভার মতো সরকারি সংস্থাকে এভাবে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের । তৃণমূলের দাবি, নিছক মজার ছলেই এই কাজ করেছেন ৷
কার্তিক পুজোয় নিকট আত্মীয়ের বাড়ির সামনে কার্তিক রেখে আসার রীতি দীর্ঘদিনের । এবার সেই রীতি নিয়েই বিতর্কে জড়ালেন তৃনমূল কাউন্সিলর পৌষালী ৷ বৈদ্যবাটি পুরসভার 19 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্যামল মাইতি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর রেখে আসেন পৌষালী ৷ সেই ছবিও পোস্ট করেন নিজের সোশাল মিডিয়ায় ৷ সেখানে দেখা যায়, কার্তিকের হাতে কাউন্সিলরের প্যাডের পাতায় তৃণমূল কর্মী-নেতাদের নাম লেখা রয়েছে । সেখানেই এই ঠাকুর রেখে আসার খরচ হিসেবে 2000 টাকা চাওয়া হয় । প্যাডের শেষে লেখা এটা 'পুরসভা অনুমোদিত' ৷ আর এরপরই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি ৷ শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে বৈদ্যবাটি পুরসভার পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন, "কাউন্সিলরের প্যাড পুরসভার কাজে ব্যবহার করার জন্য । এভাবে ব্যক্তিগত কোনও কাজ বা মজা করার জন্য তা ব্যবহার করা যায় না ৷ যে কাউন্সিলর এই কাজ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে । তাঁকে সতর্ক করা হবে ।"
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছ বিজেপি ৷ দলের যুবমোর্চার মুখপাত্র হরি মিশ্র বলেন, "পুরসভার প্যাডে লিখে কার্তিক ঠাকুরের জন্য 2000 টাকা চাইছেন তৃণমূল কাউন্সিলর ! আসলে তৃণমূল দল এমনই অবস্থায় চলে গিয়েছে যে তারা কার্তিক ঠাকুরকেও কাটমানি করতে ছাড়ছে না ৷" চাঁপদানির তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, "বন্ধুদের মধ্য়ে নিছক মজা করার জন্য ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে ৷ কিন্তু এর মধ্যেও বিরোধীরা রাজনীতি খোঁজার চেষ্টা করছে ৷ তবে পুরসভার প্যাড ব্যবহার করা উচিত হয়নি ৷" আগামিদিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না-ঘটে, সেদিকে নজর দেওয়া হবে বলে জানান তিনি ৷