ETV Bharat / state

প্রশাসনিক বৈঠক করলেও গেলেন না প্লাবিত ভূতনিতে, সেচ প্রতিমন্ত্রীকে ঘিরে বিতর্ক - Malda Flood Situation

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 2, 2024, 5:43 PM IST

Malda Flood Situation: মানিকচকে প্রশাসনিক বৈঠক করলেও প্লাবিত ভূতনি পরিদর্শনে গেলেন না সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ৷ মানুষের ক্ষোভ সামাল দিতে পারবেন না বলেই কি ভূতনিতে পা দিলেন না ? কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন বিরোধীদের ৷

Malda Flood Situation
গঙ্গার বাঁধভাঙা জলে প্লাবিত ভূতনি (নিজস্ব ছবি)

মালদা, 2 সেপ্টেম্বর: গঙ্গার বাঁধভাঙা জলে ভাসছে ভূতনি ৷ এই পরিস্থিতিতে রবিবার বিকেলে মানিকচক ব্লক অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করেন সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ৷ তিনি এই জেলারই জনপ্রতিনিধি ৷ যদিও তিনি এখনও পর্যন্ত বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করেননি ৷ ভূতনিকে বন্যা দুর্গত বলে সরকারি কোনও ঘোষণাও করা হয়নি ৷ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বানভাসি মানুষ ৷ প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরাও ৷ এক্ষেত্রে মন্ত্রীর অদ্ভুত যুক্তি, বন্যা ঘোষণার দায়িত্ব কেন্দ্রের, রাজ্যের নয় ৷

প্লাবিত ভূতনি পরিদর্শন করলেন না সেচ প্রতিমন্ত্রী (ইটিভি ভারত)

তিনি বলেন, "আমার কথায় ভূতনিতে বন্যা ঘোষণা হবে না ৷ বন্যা ঘোষণা করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে ৷ শর্তগুলি পূরণ না-হলে বন্যা ঘোষণা করা যায় না ৷ তাছাড়া বন্যা ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ আমরাও চাই, ভূতনিতে বন্যা ঘোষণা করা হোক ৷ তাহলে কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকারের তরফেই ফান্ড আসবে ৷ মানুষের উপকার হবে ৷ তবে দুর্গতদের সুবিধেয় আমরা সমস্ত দফতরকে কাজে লাগিয়েছি ৷ গোখাদ্যের যাতে অভাব না-হয় তা দেখছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর ৷ দুর্গত মানুষকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে ৷ তারপরেও যদি কেউ ত্রাণ না-পেয়ে থাকে তবে প্রয়োজনে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অথবা টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করুন ৷ সহায়তা অবশ্যই পাবেন ৷"

নদীর জলস্তর কমলেও প্লাবিত ভূতনি চরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাই ৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ দুর্গত দু'লাখেরও বেশি মানুষ ৷ বেশ কয়েকদিন ধরে জলবন্দি থাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্যের আকাল ৷ অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হলেও তা নগণ্য ৷ যে রান্না করা খিচুড়ি পাঠানো হচ্ছে, তা সবার কাছে পৌঁছচ্ছে না ৷ নৌকা ছাড়া যোগাযোগের অন্য কোনও উপায় নেই ৷ সুযোগ বুঝে নৌকার মাঝিরাও দ্বিগুণ, তিনগুণ ভাড়া দাবি করতে শুরু করেছেন ৷ দুর্গতদের যাতায়াতের জন্য এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা করা হয়নি বলেও অভিযোগ ৷

Malda Flood Situation
প্লাবিত ভূতনিতে ঝুঁকির পারাপার (নিজস্ব ছবি)

22 দিন আগে ভূতনির রতনপুরে ভেঙে যায় কেশরপুর বাঁধ ৷ সেই সময় গঙ্গা চূড়ান্ত বিপদসীমার উপরে ছিল ৷ ফলে নদীর জল হু হু করে ঢুকতে শুরু করে চরে ৷ প্রথমেই প্লাবিত হয় উত্তর চণ্ডীপুর ৷ পরবর্তীতে দক্ষিণ চণ্ডীপুর এবং হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ অংশও জলের নীচে চলে যায় ৷ এখনও জলের নীচেই রয়েছে ভূতনি থানা-সহ এলাকার সমস্ত স্কুল ৷ এমনকী চণ্ডীপুর হাইস্কুলের ত্রাণ শিবিরের নীচতলাও এখন জলের নীচে ৷ ইতিমধ্যে জলে ডুবে মারা গিয়েছে এক কিশোর ৷ শনিবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের ৷ সর্পাহত হয়েছেন দু’জন ৷

সৌভাগ্যের বিষয়, তাঁরা এখনও জীবিত রয়েছেন ৷ তবে চারদিকে খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে ৷ তীব্র হয়েছে গোখাদ্যের অভাব ৷ চরে গিয়ে একাধিকবার দুর্গতদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ এই পরিস্থিতিতে রবিবার বিকেলে মানিকচক ব্লক অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করেন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ৷ বৈঠকে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, এলাকার বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ৷ মন্ত্রী জানিয়ে দেন, সময়ের অভাবে তিনি ভূতনির দুর্গত এলাকায় যেতে পারছেন না ৷ তবে দুর্গত মানুষজনের পাশে রয়েছে তাঁর দফতর ৷

দুর্গত মানুষজনের পুনর্বাসনের প্রশ্নে সাবিনার জবাব,"বন্যার জল তো একমাস পর নেমে যাবে ৷ কিন্তু যাদের বাড়ি ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে পারেনি ৷ আমরাও গঙ্গা, ফুলহর ও মহানন্দার ভাঙনে বিপন্ন মানুষকে পুনর্বাসন দিতে পারছি না ৷ মালদার আয়তন দিন দিন কমে যাচ্ছে ৷ 1 নম্বর খতিয়ানে জায়গা কোথায় ? সেই জায়গার খোঁজ পেলেই আমরা গৃহহীনদের পাট্টা দিচ্ছি ৷ আমরা ভূমি তো তৈরি করতে পারব না ! অল্প জায়গার মধ্যে যতটা সম্ভব, রাজ্য সরকার একতরফাভাবে পুনর্বাসনের কাজ করছে ৷"

Malda Flood Situation
জলের তলায় বাড়ি (নিজস্ব ছবি)

তাঁর কথায়, "গঙ্গা ভাঙন মূলত ভূতনি আর রতুয়ায় হচ্ছে ৷ এই দুই জায়গায় দু'বছরে রাজ্যের ফান্ডে আমরা 40 কোটি টাকার কাজ করেছি ৷ আরও সাত কোটি টাকার কাজ চলছে ৷ রতুয়া 1 নম্বর ব্লকে 21 কোটি টাকার কাজ হয়েছে ৷ দু'কোটি 20 লাখ টাকার একটি কাজ চলছে ৷ ভূতনির রিং বাঁধ এবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ 2022 সালেও এখানে সমস্যা হয়েছিল ৷ আশা করছি, এবছরের শেষের দিকে স্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামতের কাজে হাত দিতে পারব ৷ আর জেলার আরও একটি বড় সমস্যা কোশি নদী ৷ এবারও তিন জায়গায় ভাঙন হয়েছে ৷ দু'জায়গায় ভাঙন রোধের কাজ শেষ হয়েছে ৷ শুধু রতনপুরের কাজ ঠিক হয়নি ৷ সেখানেই এবার গঙ্গার বাঁধ ভেঙেছে ৷"

দুর্গত মানুষজন বলছেন, ভূতনিতে পা দিলেও মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে আশঙ্কা করেই মন্ত্রী সাবিনা এখনও বন্যা পরিদর্শনে আসেননি ৷ একই কারণে চরে পা দেননি এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ৷ যদিও এ নিয়ে সাবিত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি ৷ এলাকায় এসেও মন্ত্রী বন্যা পরিদর্শন না করায় প্রশ্ন তুলেছে দুর্গতদের সঙ্গে বিরোধীরাও ৷

সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা সোমবার বলেন, "গতকাল সেচ প্রতিমন্ত্রী মানিকচকে বৈঠক করলেন ৷ সেখানে জেলাশাসক এবং মানিকচকের বিধায়কও ছিলেন ৷ সেচমন্ত্রী ভূতনিতে এলেন না কেন ? কীসের ভয় তাঁর ? 100 মিটার কাটা বাঁধ সময়মতো মেরামত করে দিলে আজ ভূতনিবাসী দুর্ভোগে পড়ত না ৷ মানুষের ক্ষোভ সামাল দিতে পারবেন না বলেই কি তাঁরা ভূতনিতে পা দিলেন না? ভূতনিবাসীকে এভাবে ডোবানো হল কেন, তার জবাব সেচমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে ৷"

মালদা, 2 সেপ্টেম্বর: গঙ্গার বাঁধভাঙা জলে ভাসছে ভূতনি ৷ এই পরিস্থিতিতে রবিবার বিকেলে মানিকচক ব্লক অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করেন সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ৷ তিনি এই জেলারই জনপ্রতিনিধি ৷ যদিও তিনি এখনও পর্যন্ত বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করেননি ৷ ভূতনিকে বন্যা দুর্গত বলে সরকারি কোনও ঘোষণাও করা হয়নি ৷ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বানভাসি মানুষ ৷ প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরাও ৷ এক্ষেত্রে মন্ত্রীর অদ্ভুত যুক্তি, বন্যা ঘোষণার দায়িত্ব কেন্দ্রের, রাজ্যের নয় ৷

প্লাবিত ভূতনি পরিদর্শন করলেন না সেচ প্রতিমন্ত্রী (ইটিভি ভারত)

তিনি বলেন, "আমার কথায় ভূতনিতে বন্যা ঘোষণা হবে না ৷ বন্যা ঘোষণা করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে ৷ শর্তগুলি পূরণ না-হলে বন্যা ঘোষণা করা যায় না ৷ তাছাড়া বন্যা ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ আমরাও চাই, ভূতনিতে বন্যা ঘোষণা করা হোক ৷ তাহলে কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকারের তরফেই ফান্ড আসবে ৷ মানুষের উপকার হবে ৷ তবে দুর্গতদের সুবিধেয় আমরা সমস্ত দফতরকে কাজে লাগিয়েছি ৷ গোখাদ্যের যাতে অভাব না-হয় তা দেখছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর ৷ দুর্গত মানুষকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে ৷ তারপরেও যদি কেউ ত্রাণ না-পেয়ে থাকে তবে প্রয়োজনে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অথবা টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করুন ৷ সহায়তা অবশ্যই পাবেন ৷"

নদীর জলস্তর কমলেও প্লাবিত ভূতনি চরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাই ৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ দুর্গত দু'লাখেরও বেশি মানুষ ৷ বেশ কয়েকদিন ধরে জলবন্দি থাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্যের আকাল ৷ অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হলেও তা নগণ্য ৷ যে রান্না করা খিচুড়ি পাঠানো হচ্ছে, তা সবার কাছে পৌঁছচ্ছে না ৷ নৌকা ছাড়া যোগাযোগের অন্য কোনও উপায় নেই ৷ সুযোগ বুঝে নৌকার মাঝিরাও দ্বিগুণ, তিনগুণ ভাড়া দাবি করতে শুরু করেছেন ৷ দুর্গতদের যাতায়াতের জন্য এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা করা হয়নি বলেও অভিযোগ ৷

Malda Flood Situation
প্লাবিত ভূতনিতে ঝুঁকির পারাপার (নিজস্ব ছবি)

22 দিন আগে ভূতনির রতনপুরে ভেঙে যায় কেশরপুর বাঁধ ৷ সেই সময় গঙ্গা চূড়ান্ত বিপদসীমার উপরে ছিল ৷ ফলে নদীর জল হু হু করে ঢুকতে শুরু করে চরে ৷ প্রথমেই প্লাবিত হয় উত্তর চণ্ডীপুর ৷ পরবর্তীতে দক্ষিণ চণ্ডীপুর এবং হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ অংশও জলের নীচে চলে যায় ৷ এখনও জলের নীচেই রয়েছে ভূতনি থানা-সহ এলাকার সমস্ত স্কুল ৷ এমনকী চণ্ডীপুর হাইস্কুলের ত্রাণ শিবিরের নীচতলাও এখন জলের নীচে ৷ ইতিমধ্যে জলে ডুবে মারা গিয়েছে এক কিশোর ৷ শনিবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের ৷ সর্পাহত হয়েছেন দু’জন ৷

সৌভাগ্যের বিষয়, তাঁরা এখনও জীবিত রয়েছেন ৷ তবে চারদিকে খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে ৷ তীব্র হয়েছে গোখাদ্যের অভাব ৷ চরে গিয়ে একাধিকবার দুর্গতদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ এই পরিস্থিতিতে রবিবার বিকেলে মানিকচক ব্লক অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করেন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ৷ বৈঠকে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, এলাকার বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ৷ মন্ত্রী জানিয়ে দেন, সময়ের অভাবে তিনি ভূতনির দুর্গত এলাকায় যেতে পারছেন না ৷ তবে দুর্গত মানুষজনের পাশে রয়েছে তাঁর দফতর ৷

দুর্গত মানুষজনের পুনর্বাসনের প্রশ্নে সাবিনার জবাব,"বন্যার জল তো একমাস পর নেমে যাবে ৷ কিন্তু যাদের বাড়ি ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে পারেনি ৷ আমরাও গঙ্গা, ফুলহর ও মহানন্দার ভাঙনে বিপন্ন মানুষকে পুনর্বাসন দিতে পারছি না ৷ মালদার আয়তন দিন দিন কমে যাচ্ছে ৷ 1 নম্বর খতিয়ানে জায়গা কোথায় ? সেই জায়গার খোঁজ পেলেই আমরা গৃহহীনদের পাট্টা দিচ্ছি ৷ আমরা ভূমি তো তৈরি করতে পারব না ! অল্প জায়গার মধ্যে যতটা সম্ভব, রাজ্য সরকার একতরফাভাবে পুনর্বাসনের কাজ করছে ৷"

Malda Flood Situation
জলের তলায় বাড়ি (নিজস্ব ছবি)

তাঁর কথায়, "গঙ্গা ভাঙন মূলত ভূতনি আর রতুয়ায় হচ্ছে ৷ এই দুই জায়গায় দু'বছরে রাজ্যের ফান্ডে আমরা 40 কোটি টাকার কাজ করেছি ৷ আরও সাত কোটি টাকার কাজ চলছে ৷ রতুয়া 1 নম্বর ব্লকে 21 কোটি টাকার কাজ হয়েছে ৷ দু'কোটি 20 লাখ টাকার একটি কাজ চলছে ৷ ভূতনির রিং বাঁধ এবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ 2022 সালেও এখানে সমস্যা হয়েছিল ৷ আশা করছি, এবছরের শেষের দিকে স্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামতের কাজে হাত দিতে পারব ৷ আর জেলার আরও একটি বড় সমস্যা কোশি নদী ৷ এবারও তিন জায়গায় ভাঙন হয়েছে ৷ দু'জায়গায় ভাঙন রোধের কাজ শেষ হয়েছে ৷ শুধু রতনপুরের কাজ ঠিক হয়নি ৷ সেখানেই এবার গঙ্গার বাঁধ ভেঙেছে ৷"

দুর্গত মানুষজন বলছেন, ভূতনিতে পা দিলেও মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে আশঙ্কা করেই মন্ত্রী সাবিনা এখনও বন্যা পরিদর্শনে আসেননি ৷ একই কারণে চরে পা দেননি এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ৷ যদিও এ নিয়ে সাবিত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি ৷ এলাকায় এসেও মন্ত্রী বন্যা পরিদর্শন না করায় প্রশ্ন তুলেছে দুর্গতদের সঙ্গে বিরোধীরাও ৷

সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা সোমবার বলেন, "গতকাল সেচ প্রতিমন্ত্রী মানিকচকে বৈঠক করলেন ৷ সেখানে জেলাশাসক এবং মানিকচকের বিধায়কও ছিলেন ৷ সেচমন্ত্রী ভূতনিতে এলেন না কেন ? কীসের ভয় তাঁর ? 100 মিটার কাটা বাঁধ সময়মতো মেরামত করে দিলে আজ ভূতনিবাসী দুর্ভোগে পড়ত না ৷ মানুষের ক্ষোভ সামাল দিতে পারবেন না বলেই কি তাঁরা ভূতনিতে পা দিলেন না? ভূতনিবাসীকে এভাবে ডোবানো হল কেন, তার জবাব সেচমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.