কলকাতা, 16 অগস্ট: বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, চিকিৎসক পড়ুয়াদের সব দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু এই লাগাতার কর্মবিরতির জেরে মৃত্যু হয়েছে রোগীর। রোগীরা রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান মমতা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় হতাশ আন্দোলনকারী পড়ুয়া চিকিৎসকরা। তাঁদের পালটা দাবি, নিরাপত্তা নেই বলেই তাঁরা কাজ করতে পারছেন না।
চিকিৎসকদের লাগাতার কর্মবিরতির জেরে অন্য হাসপাতাল চলে যেতে চাইছেন রোগীরা ৷ চিকিৎসা না-পাওয়ায় গরিব মানুষদের সমস্যা হচ্ছে। আর কতদিন এভাবে চলবে, প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ যদিও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনার পর ভীত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নার্স-কর্মীরা ৷ রাতে কর্মরত অবস্থায় থাকাকালীন আবারও এই ধরনের ঘটনা ঘটবে কি না, সেই প্রশ্নই তাদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে ৷ পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের এই অন্যতম সরকারি হাসপাতালে। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা কার্যত হতাশ করছে সকল চিকিৎসক পড়ুয়া, নার্স ও কর্মীদের।
আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বলেন, "এই নিরাপত্তাহীন পরিবেশ আমরা কাজ করতে পারছি না। বুধবারের রাতের ঘটনা সুপরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক মদতপুষ্ট। এটি তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার জন্য নতুন প্রচেষ্টা ৷ বুধবার রাতের এই ঘটনা দেখে আমরা বুঝতে পারছি ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে আমরা একবিন্দুও এগোতে পারিনি ।" তবে এর পাশাপাশি তারা জানিয়ে রেখেছেন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ নেই ৷ সিনিয়র চিকিৎসকেরা পরিষেবা দিচ্ছেন ৷
অন্যদিকে, আরজি কর হাসপাতালের এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিল চিকিৎসক সংগঠন ৷ ন্যাশনাল মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল 6টা থেকে রবিবার সকাল 6টা পর্যন্ত সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জারি থাকবে জরুরি পরিষেবা। দেশের সব সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে বন্ধ থাকবে ওপিডি। ফলে শনিবার আবারও রোগী দুর্ভোগের একটি আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
চিকিৎসকদের আন্দোলন ও দাবি ন্যায্য, 'চাপে' ভিডিয়ো বার্তা মহুয়ার !