কলকাতা, 24 জানুয়ারি: "আজ মরেই যেতাম! মানুষের আশীর্বাদে বেঁচে গেলাম", বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুধবার বর্ধমান থেকে সড়কপথে ফেরার সময় তাঁর কনভয়ে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে ৷ সেই গাড়িটির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িচালক ব্রেক কষেন ৷ এর ফলে ঝাঁকুনিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় চোট লাগে ৷ সেই চোট নিয়েই তিনি সন্ধ্যায় রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান ৷
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরতেই মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা ৷ তাঁর মাথায় চোট নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, বড়সড়ো দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুও হতে পারত ৷ তিনি বলেন, "বর্ধমানের গোদার মাঠে সরকারি অনুষ্ঠান শেষে আজ প্রায় মরেই যেতাম ৷ আমার গাড়ির সামনে একটা গাড়ি চলে এসেছিল ৷ প্রায় 200 কিমি বেগে ৷ আমার ড্রাইভার খুব জোর ব্রেক কষেছিল ৷ তখন একটা ঝাঁকুনি হয় ৷ ড্যাশবোর্ডে মাথাটা ঠুকে গিয়েছে ৷ কিছুটা রক্তও বেরিয়েছে ৷"
এখন তাঁরা মাথার চোট কেমন আছে ? এর উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সারা মাথাটা টনটন করছে ৷ তাই নিয়েই আমি কাজ করে গেলাম ৷ এখনও মাথা ঘুরছে ৷ গা বমি বমি ভাব আছে । জ্বর জ্বর লাগছে । ওষুধ খেয়েছি ৷ এখন আমি বাড়ি যাচ্ছি ৷"
তবে তাঁর গাড়ির কাচটি খোলা ছিল ৷ তা না হলে মাথায় কাচ লেগে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা ৷ তিনি বলেন, "আমার চালক বুদ্ধিকরে ব্রেক কষেছেন ৷ না হলে ধাক্কা লাগত ৷ গাড়িটা চুরমার হয়ে যেতে পারত ৷" তিনি মমতা বলেন, "আমার একটু জ্বর আসছে ৷ গা গোলাচ্ছে ৷ বমি ভাব হচ্ছে ৷ আমি জানি না ৷ একটা কোন গাড়ি, আমি দেখতে পাইনি ৷ আমরা যখন গলি দিয়ে বেরোচ্ছিলাম, তখন ওই গাড়িটা প্রায় 200 কিমি স্পিডে যাচ্ছিল ৷" গাড়িটি কার ? এর উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ৷"
আরও পড়ুন: