ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট 'সরকার সুবিচার নিশ্চিত করেছে', এত দ্রুত সাজা রাজ্যে প্রথম; পুলিশকর্তা - JOYNAGAR MINOR RAPE MURDER CASE

জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনে দোষীর ফাঁসির সাজায় পোস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতার ৷ সাংবাদিক বৈঠকে 'বেনজির' বললেন পুলিশের শীর্ষকর্তা ৷ রাজ্য পুলিশের পোস্টে 'জাস্টিস ফর জয়নগর' ৷

Kultali Minor Rape and Murder Case
জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনে দোষীর ফাঁসির সাজা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 6, 2024, 8:34 PM IST

Updated : Dec 6, 2024, 9:04 PM IST

কলকাতা, 6 ডিসেম্বর: আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি ৷ এদিকে রাজ্য পুলিশের তদন্তে জয়নগরের নাবালিকা ছাত্রী ধর্ষণ-খুনে ঘটনায় মাত্র দু'মাসে দোষী সাব্যস্ত হল মুস্তাকিন সরদার ৷ বৃহস্পতিবার বারুইপুর মহকুমা আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে ৷ এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ এবং তদন্তে জড়িত সবাইকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের তরফে সোশাল মিডিয়ায় 'জাস্টিস ফর জয়নগর' লিখে পোস্ট করা হয়েছে ৷ পুলিশের শীর্ষকর্তা সুপ্রিম সরকার সাংবাদিক বৈঠক করে তদন্ত কীভাবে এগিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলেন ৷ তাঁর কথায়, "পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এই রায় নজিরবিহীন ৷" মাত্র 62 দিনে বিচার এর আগে পশ্চিমবঙ্গে কখনও হয়নি, জোর দিয়ে জানান তিনি ৷

এই রায় ঘোষণার পর সোশাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "4 অক্টোবর জয়নগরে এক নাবালিকাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছিল ৷ এই ঘৃণ্য ঘটনার মাত্র 62 দিনের মধ্যে আজ দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ শুনিয়েছে বারুইপুরের পকসো আদালত ৷ সদ্য এই ঘটনার দু'মাস অতিক্রান্ত হয়েছে ৷ এর মধ্যে দোষী সাব্যস্ত করা থেকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো- রাজ্যের ইতিহাসে এর আগে কখনও হয়নি ৷"

এর জন্য় রাজ্য পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি লেখেন, "এই দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য় আমি রাজ্য পুলিশকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ৷ এছাড়া যাঁরা বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদেরও ৷" তিনি উল্লেখ করেন, "নারী নির্যাতনের ঘটনায় সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে ৷ বিচারে দেরি বা অস্বীকার নয়, সরকার সুবিচার নিশ্চিত করেছে ৷"

কোন পথে তদন্ত, কী বললেন পুলিশের উচ্চাধিকারিক

এদিন তদন্ত কোন পথে কীভাবে এগিয়েছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল, তা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন এডিজি সুপ্রতিম সরকার (দক্ষিণবঙ্গ) ৷ তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এই ঘটনার তদন্ত ও বিচার নজিরবিহীন ৷ রাজ্যে কোনও ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এত দ্রুত বিচার এই প্রথম ৷ একটি বেনজির সাফল্য ৷" এই সাফল্যে তিনি বারুইপুর পুলিশ সুপার পলাশ ঢালি এবং তদন্তকারী দলের সদস্য, স্পেশাল সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানান ৷

Facebook Post of WB Police
রাজ্য পুলিশের ফেসবুক পোস্ট (ছবি সৌজন্য: রাজ্য পুলিশের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট)

মুস্তাকিনের বিরুদ্ধে প্রমাণ

  • মেয়েটি যেখানে টিউশন পড়তে গিয়েছিল, সেখানে একই শিক্ষিকার কাছে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুও পড়তে গিয়েছিল ৷ মেয়েটি সেদিন একটু আগে 5টা নাগাদ বেরিয়েছিল ৷ বন্ধুটি পরে বেরিয়েছিল ৷ সে দেখতে পায়, একটি নীল রঙের সাইকেলে করে তার বন্ধু এক যুবকের সঙ্গে যাচ্ছিল ৷ এমন আরও তিনজন গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যক্ষদর্শীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা বিকেল 5টা থেকে 7টার মধ্যে মুস্তাকিন সরকারকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে যেতে দেখেছে৷
  • এলাকার প্রত্যেকটি সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে ৷ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজের কথা উল্লেখ করেন এডিজি (দক্ষিণ) সুপ্রতিম সরকার ৷ তাতে দেখা যায় যে মুস্তাকিন ওই মেয়েটিকে অনুসরণ করছে, সাইকেলে চড়ছে ৷ সিসি ফুটেজগুলির সত্যতা খতিয়ে দেখা হয়েছে ৷
  • মুস্তাকিন সরদারের ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে গুগল ম্যাপের সাহায্যে মুস্তাকিনের গতিবিধির ডিজিটাল প্লটিং করা হয় ৷ ডিজিটাল প্লটিং থেকেই তর্কাতীতভাবে প্রমাণিত হয় যে যেখান থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে মুস্তাকিনের উপস্থিতি ছিল ৷
  • নাবালিকার দেহ উদ্ধারের জায়গায় স্কুল ব্যাগে লেগে থাকা কাদা, চোর কাঁটা এবং ঘটনাস্থলের অন্যত্র পাওয়া চোরকাঁটা, কাদা ফরেনসিকে প্রমাণিত
  • মেয়েটির হাতের লেখা
  • মুস্তাকিনের নীল রঙের সাইকেলে মেয়েদের মাথার ক্লিপ, চুল পাওয়া গিয়েছে ৷ ওই ক্লিপটি যে নির্যাতিতা নাবালিকার, তা আদালতে শনাক্ত করে তার বাবা ৷ কয়েকগাছা চুল যে মেয়েটিরই তা ডিএনএ এবং জেনেটিক প্রোফাইলে নির্ভুলভাবে প্রমাণিত হয়েছে ৷
  • ময়নাতদন্তে মৃতার যৌনাঙ্গ থেকে যে তরল পাওয়া গিয়েছে, তা যে মুস্তাকিনেরই, সেটাও ডিএনএ ও জেনেটিক প্রোফাইলে নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত হয়েছে ৷
  • মুস্তাকিন সরদারের গেট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ ৷ মুস্তাকিনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজ- একটিতে সে সাইকেল নিয়ে হাঁটছে ৷ একটি ফুটেজে সে সাইকেলে চড়ছে এবং আরেকটিতে সে মেয়েটির পিছু নিচ্ছে ৷ বারুইপুর সংশোধনাগারে মুস্তাকিন থাকাকালীন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে মুস্তাকিনের গেট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করা হয় ৷ ওই নীল সাইকেলে তাকে হাঁটানো হয় ৷ তাকে চড়ানো হয় এবং পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করা হয় ৷ সেই ভিডিয়ো এবং সিসি ফুটেজ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয় ৷ তাঁরা রিপোর্ট দেন যে দু'টি গেট প্যাটার্নই এক ৷

সাংবাদিক বৈঠকের শেষে পুলিশের উচ্চাধিকারিক জোর দিয়ে বলেন, "আমরা চাইনি যে নির্যাতিতা ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিচারহীন থাকুক ৷ আমরা সকলে জানি, মেয়েটি আর ফিরবে না ৷ কিন্তু এই যে 62দিনের মাথায় আমরা মেয়েটিকে ন্যায়বিচার দিতে পারলাম, এটাই আমাদের সান্ত্বনা, এটাই আমাদের প্রাপ্তি ৷"

এদিন প্রতিক্রিয়া দেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজিতা আইন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি বিলম্বিত করছে ৷ আরজি কর মামলায় কলকাতা পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয় ছিল ৷ কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহলে বিষয়টি নিয়ে গেল সিবিআই তদন্তের দাবিতে ?"

দু'মাসেই বিচার, জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা

কলকাতা, 6 ডিসেম্বর: আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি ৷ এদিকে রাজ্য পুলিশের তদন্তে জয়নগরের নাবালিকা ছাত্রী ধর্ষণ-খুনে ঘটনায় মাত্র দু'মাসে দোষী সাব্যস্ত হল মুস্তাকিন সরদার ৷ বৃহস্পতিবার বারুইপুর মহকুমা আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে ৷ এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ এবং তদন্তে জড়িত সবাইকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের তরফে সোশাল মিডিয়ায় 'জাস্টিস ফর জয়নগর' লিখে পোস্ট করা হয়েছে ৷ পুলিশের শীর্ষকর্তা সুপ্রিম সরকার সাংবাদিক বৈঠক করে তদন্ত কীভাবে এগিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলেন ৷ তাঁর কথায়, "পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এই রায় নজিরবিহীন ৷" মাত্র 62 দিনে বিচার এর আগে পশ্চিমবঙ্গে কখনও হয়নি, জোর দিয়ে জানান তিনি ৷

এই রায় ঘোষণার পর সোশাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "4 অক্টোবর জয়নগরে এক নাবালিকাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছিল ৷ এই ঘৃণ্য ঘটনার মাত্র 62 দিনের মধ্যে আজ দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ শুনিয়েছে বারুইপুরের পকসো আদালত ৷ সদ্য এই ঘটনার দু'মাস অতিক্রান্ত হয়েছে ৷ এর মধ্যে দোষী সাব্যস্ত করা থেকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো- রাজ্যের ইতিহাসে এর আগে কখনও হয়নি ৷"

এর জন্য় রাজ্য পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি লেখেন, "এই দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য় আমি রাজ্য পুলিশকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ৷ এছাড়া যাঁরা বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদেরও ৷" তিনি উল্লেখ করেন, "নারী নির্যাতনের ঘটনায় সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে ৷ বিচারে দেরি বা অস্বীকার নয়, সরকার সুবিচার নিশ্চিত করেছে ৷"

কোন পথে তদন্ত, কী বললেন পুলিশের উচ্চাধিকারিক

এদিন তদন্ত কোন পথে কীভাবে এগিয়েছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল, তা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন এডিজি সুপ্রতিম সরকার (দক্ষিণবঙ্গ) ৷ তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এই ঘটনার তদন্ত ও বিচার নজিরবিহীন ৷ রাজ্যে কোনও ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এত দ্রুত বিচার এই প্রথম ৷ একটি বেনজির সাফল্য ৷" এই সাফল্যে তিনি বারুইপুর পুলিশ সুপার পলাশ ঢালি এবং তদন্তকারী দলের সদস্য, স্পেশাল সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানান ৷

Facebook Post of WB Police
রাজ্য পুলিশের ফেসবুক পোস্ট (ছবি সৌজন্য: রাজ্য পুলিশের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট)

মুস্তাকিনের বিরুদ্ধে প্রমাণ

  • মেয়েটি যেখানে টিউশন পড়তে গিয়েছিল, সেখানে একই শিক্ষিকার কাছে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুও পড়তে গিয়েছিল ৷ মেয়েটি সেদিন একটু আগে 5টা নাগাদ বেরিয়েছিল ৷ বন্ধুটি পরে বেরিয়েছিল ৷ সে দেখতে পায়, একটি নীল রঙের সাইকেলে করে তার বন্ধু এক যুবকের সঙ্গে যাচ্ছিল ৷ এমন আরও তিনজন গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যক্ষদর্শীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা বিকেল 5টা থেকে 7টার মধ্যে মুস্তাকিন সরকারকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে যেতে দেখেছে৷
  • এলাকার প্রত্যেকটি সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে ৷ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজের কথা উল্লেখ করেন এডিজি (দক্ষিণ) সুপ্রতিম সরকার ৷ তাতে দেখা যায় যে মুস্তাকিন ওই মেয়েটিকে অনুসরণ করছে, সাইকেলে চড়ছে ৷ সিসি ফুটেজগুলির সত্যতা খতিয়ে দেখা হয়েছে ৷
  • মুস্তাকিন সরদারের ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে গুগল ম্যাপের সাহায্যে মুস্তাকিনের গতিবিধির ডিজিটাল প্লটিং করা হয় ৷ ডিজিটাল প্লটিং থেকেই তর্কাতীতভাবে প্রমাণিত হয় যে যেখান থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে মুস্তাকিনের উপস্থিতি ছিল ৷
  • নাবালিকার দেহ উদ্ধারের জায়গায় স্কুল ব্যাগে লেগে থাকা কাদা, চোর কাঁটা এবং ঘটনাস্থলের অন্যত্র পাওয়া চোরকাঁটা, কাদা ফরেনসিকে প্রমাণিত
  • মেয়েটির হাতের লেখা
  • মুস্তাকিনের নীল রঙের সাইকেলে মেয়েদের মাথার ক্লিপ, চুল পাওয়া গিয়েছে ৷ ওই ক্লিপটি যে নির্যাতিতা নাবালিকার, তা আদালতে শনাক্ত করে তার বাবা ৷ কয়েকগাছা চুল যে মেয়েটিরই তা ডিএনএ এবং জেনেটিক প্রোফাইলে নির্ভুলভাবে প্রমাণিত হয়েছে ৷
  • ময়নাতদন্তে মৃতার যৌনাঙ্গ থেকে যে তরল পাওয়া গিয়েছে, তা যে মুস্তাকিনেরই, সেটাও ডিএনএ ও জেনেটিক প্রোফাইলে নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত হয়েছে ৷
  • মুস্তাকিন সরদারের গেট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ ৷ মুস্তাকিনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজ- একটিতে সে সাইকেল নিয়ে হাঁটছে ৷ একটি ফুটেজে সে সাইকেলে চড়ছে এবং আরেকটিতে সে মেয়েটির পিছু নিচ্ছে ৷ বারুইপুর সংশোধনাগারে মুস্তাকিন থাকাকালীন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে মুস্তাকিনের গেট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করা হয় ৷ ওই নীল সাইকেলে তাকে হাঁটানো হয় ৷ তাকে চড়ানো হয় এবং পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করা হয় ৷ সেই ভিডিয়ো এবং সিসি ফুটেজ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয় ৷ তাঁরা রিপোর্ট দেন যে দু'টি গেট প্যাটার্নই এক ৷

সাংবাদিক বৈঠকের শেষে পুলিশের উচ্চাধিকারিক জোর দিয়ে বলেন, "আমরা চাইনি যে নির্যাতিতা ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিচারহীন থাকুক ৷ আমরা সকলে জানি, মেয়েটি আর ফিরবে না ৷ কিন্তু এই যে 62দিনের মাথায় আমরা মেয়েটিকে ন্যায়বিচার দিতে পারলাম, এটাই আমাদের সান্ত্বনা, এটাই আমাদের প্রাপ্তি ৷"

এদিন প্রতিক্রিয়া দেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজিতা আইন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি বিলম্বিত করছে ৷ আরজি কর মামলায় কলকাতা পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয় ছিল ৷ কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহলে বিষয়টি নিয়ে গেল সিবিআই তদন্তের দাবিতে ?"

দু'মাসেই বিচার, জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা
Last Updated : Dec 6, 2024, 9:04 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.