মেদিনীপুর, 18 জুন: ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যু ঘটল স্কুলে বসেই ৷ মর্মাহত স্কুল কর্তৃপক্ষ-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মানুষজন। কলেজ ছাত্রীর পর এবার স্কুলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছের এগারোর ওই পড়ুয়ার। মঙ্গলবার প্রার্থনা করার পর ক্লাস চলাকালীনই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে ছোট্ট পাপিয়া। আজ মর্নিং স্কুলে এসে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর পাপিয়া দে (11) ৷ বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল থানার মুড়াকাটা গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার বাড়ি থেকে সাইকেলে করে নয়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের যায় পাপিয়া। অসুস্থ বোধ করলে তড়িঘড়ি শিক্ষকরা পরিবার-পরিজনদের খবর দেন। ছাত্রীকে প্রথমে বাড়ির সামনে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে ওই ছাত্রীকে। পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই ছাত্রীর কোনও রকম রোগ ছিল না। তবে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে পাপিয়ার ৷ স্কুল ছাত্রীর মৃ্ত্যুতে অবাক শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এলাকাতেও বিষন্নতার ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় কৃষক উত্তম দে'র তিন মেয়ের মধ্যে সব থেকে ছোট পাপিয়া। পাপিয়া'র বড়দিদি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে পড়শোনা করছেন। মেজদিদি নয়াগ্রাম হাইস্কুলেরই নবম শ্রেণির ছাত্রী। পাপিয়া পড়ত ষষ্ঠ শ্রেণিতে।
- মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে, প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ছোট্ট পাপিয়ার।
- শিক্ষক প্রবীর পাল বলেন, "অত্যন্ত অনুগত ছাত্রী। পড়াশোনাতেও ভালো ছিল।
- বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী থেকে পরিচালন সমিতির সভাপতি জানান, সুস্থভাবেই স্কুলে এসেছিল পাপিয়া। সাড়ে ছ'টা নাগাদ প্রার্থনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই সে অসুস্থতা বোধ করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
- পরিচালন সমিতির সভাপতি অচিন্ত্য হ্যান্ডেল বলেন, "গরমের জন্যই সকালে স্কুল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এই ঘটনায় আমরা শোকস্তব্ধ ৷ চিকিৎসা করানোর কোনও সুযোগই দিল না ও। কী যে হল, কিছু বুঝতেই পারলাম না! "
- এ বিষয়ে পাপিয়ার দাদু কৃষ্ণপ্রসাদ দে বলেন, "বুঝতে পারছি না কোথা থেকে কী হল।"