পশ্চিম মেদিনীপুর, 14 জুন: নবীনবরণ অনুষ্ঠান চলাকালীন তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাঁদের ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারদের একাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের কাছে অবিলম্বে শাসকদলের ছাত্র এবং বহিরাগতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ৷ ব্যবস্থা না নিলে আগামিদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নিরঞ্জনা ত্রিপাঠী ও আকাশমণ্ডলে অভিযোগ করে জানান, মাঝে মাধ্যেই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই থাকে ৷ এদিনও নবীনবরণ অনুষ্ঠান চলাকালীন কোনও কারণবশত দুই দলের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় ৷ তার প্রতিবাদ করাতেই পড়ুয়াদের মারধর করা হয় ৷ ঘটনায় সাত-আট জন পড়ুয়া আহত হয়েছেন ৷ এরপরেই অভিযুক্ত শাসকদলের ছাত্রদের গ্রেফতারির দাবি তোলেন বর্তমান পড়ুয়ারা ৷ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন চার পড়ুয়া, যার মধ্যে দু'জন ছাত্রী রয়েছেন ৷
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদিও ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। রেজিস্ট্রার জয়ন্ত কিশোর নন্দী বলেন, "বিষয়টি নিয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।" যদিও এই ঘটনায় সরব শাসক দল। পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, "ছাত্র-ছাত্রীদের অনুষ্ঠানে এভাবে দাদাগিরি কোনওভাবে আমরা বরদাস্ত করব না। একটা অনুষ্ঠানে যাঁরা গণ্ডগোল করে মারধর করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করব।"
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান ছিল ৷ কয়েক ঘণ্টা অনুষ্ঠান চলার পরেই হঠাৎ শুরু হয় তুমুল বাগবিতণ্ডা। অবশেষে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয় ৷ ঘটনায় অনুষ্ঠান ছেড়ে পালান শিল্পীরাও ৷ উল্লেখ্য, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শাসক দল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের মধ্যে বিভাজন বেশ কিছুদিনের। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই গণ্ডগোল বলে দাবি আয়োজক ছাত্রদের। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ৷ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ছাত্ররা ৷ পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অনুষ্ঠানে বহিরাগত ছাত্ররা কীভাবে ঢুকলেন প্রশ্ন উঠেছে ৷