ETV Bharat / state

মমতা-সাক্ষাতের আগের দিন নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে সওয়াল দেশের প্রধান বিচারপতির - CJI DY CHANDRACHUD

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 28, 2024, 10:07 PM IST

Updated : Jun 28, 2024, 11:05 PM IST

CJI Kolkata Visit: কলকাতায় এসে কলকাতা হাইকোর্টের বার লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ আগামিকাল, শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করবেন তিনি ৷

CJI Kolkata Visit
কলকাতার অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি (ইটিভি ভারত)

কলকাতা 28 জুন: কলকাতায় এসে অভিভূত হলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়। হাইকোর্টের বার লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে বাংলায় ভাষণ দেন তিনি ৷ নারীদের ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে সরব হন তিনি ৷ শুরুতেই তিনি বলেন, "আপনাদের সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি কলকাতায় আসতে খুব পছন্দ করি। কলকাতার মানুষের মধুর ব্যাবহার এবং সংস্কৃতি আমার ভালো লাগে। আমি বাংলা সাহিত্য পড়েছি ৷ গান শুনেছি। সিনেমা দেখেছি ৷" ঠিক একদিন বাদেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করবেন দেশের প্রধান বিচারপতি ৷

পাশপাশি কলকাতা বার লাইব্রেরি ক্লাব সম্পর্কে তিনি বলেন, "অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং ঐতিহাসিক এই বার লাইব্রেরী ক্লাব। ঐতিহাসিক এই ক্লাব বার বার সরব হয়েছে দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে।" প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের কথা উঠে আসে নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ ৷ পাশাপশি বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা একেবারে গ্রামাঞ্চল থেকে আইনের পেশায় আসছেন তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন।

প্রবীণ আইনজীবীদের তিনি বলেন, "শুধুমাত্র পরিচিতদের মধ্যে থেকে আপনার জুনিয়র নিয়োগ করবেন না। তার বাইরে তাকান। বহু ছেলেমেয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বড় শহরে আসেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। তাহলে আপনারা এই সমাজকে ছুঁতে পারবেন। সাধারণ মানুষের মন বুঝতে পারবেন।"একইসঙ্গে মহিলারা আরও বেশি সংখ্যায় কাজের তাগিদে বাড়ির বাইরে আসছেন। আইনি পেশাও তার মধ্যে পড়ে। তাঁরা রান্নাবান্না করার সুযোগ পান না। তাই 20-25 টাকার মধ্যে সেই সমস্ত মেয়েদের খাওয়ার ব্যাবস্থা যদি করা যায় তাহলে তাঁরা উপকৃত হবেন।" শুধু বড় ধরনের সংস্কার নয়, ছোট ছোট ক্ষেত্রেও কীভাবে মেয়েদের সহযোগিতা করা যায় সে কথা ভাবতে বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি।

অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম তাঁর বক্তৃতায় এই শহরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ রাজ্যের কৃতি সন্তানদের অবদানের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করলেন। তাঁর কথায়, "আইনি পেশার জগতে কলকাতা হাইকোর্ট বার লাইব্রেরি ক্লাবের অবদান প্রভুত। গত দু'শো বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্ট বার লাইব্রেরি আইনি পেশার জগতের কৃতি সন্তানদের তৈরি করেছে। যাঁরা পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের স্বাক্ষর রেখেছেন।" উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টদের নাম করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ৷

কলকাতা 28 জুন: কলকাতায় এসে অভিভূত হলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়। হাইকোর্টের বার লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে বাংলায় ভাষণ দেন তিনি ৷ নারীদের ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে সরব হন তিনি ৷ শুরুতেই তিনি বলেন, "আপনাদের সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি কলকাতায় আসতে খুব পছন্দ করি। কলকাতার মানুষের মধুর ব্যাবহার এবং সংস্কৃতি আমার ভালো লাগে। আমি বাংলা সাহিত্য পড়েছি ৷ গান শুনেছি। সিনেমা দেখেছি ৷" ঠিক একদিন বাদেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করবেন দেশের প্রধান বিচারপতি ৷

পাশপাশি কলকাতা বার লাইব্রেরি ক্লাব সম্পর্কে তিনি বলেন, "অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং ঐতিহাসিক এই বার লাইব্রেরী ক্লাব। ঐতিহাসিক এই ক্লাব বার বার সরব হয়েছে দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে।" প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের কথা উঠে আসে নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ ৷ পাশাপশি বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা একেবারে গ্রামাঞ্চল থেকে আইনের পেশায় আসছেন তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন।

প্রবীণ আইনজীবীদের তিনি বলেন, "শুধুমাত্র পরিচিতদের মধ্যে থেকে আপনার জুনিয়র নিয়োগ করবেন না। তার বাইরে তাকান। বহু ছেলেমেয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বড় শহরে আসেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। তাহলে আপনারা এই সমাজকে ছুঁতে পারবেন। সাধারণ মানুষের মন বুঝতে পারবেন।"একইসঙ্গে মহিলারা আরও বেশি সংখ্যায় কাজের তাগিদে বাড়ির বাইরে আসছেন। আইনি পেশাও তার মধ্যে পড়ে। তাঁরা রান্নাবান্না করার সুযোগ পান না। তাই 20-25 টাকার মধ্যে সেই সমস্ত মেয়েদের খাওয়ার ব্যাবস্থা যদি করা যায় তাহলে তাঁরা উপকৃত হবেন।" শুধু বড় ধরনের সংস্কার নয়, ছোট ছোট ক্ষেত্রেও কীভাবে মেয়েদের সহযোগিতা করা যায় সে কথা ভাবতে বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি।

অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম তাঁর বক্তৃতায় এই শহরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ রাজ্যের কৃতি সন্তানদের অবদানের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করলেন। তাঁর কথায়, "আইনি পেশার জগতে কলকাতা হাইকোর্ট বার লাইব্রেরি ক্লাবের অবদান প্রভুত। গত দু'শো বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্ট বার লাইব্রেরি আইনি পেশার জগতের কৃতি সন্তানদের তৈরি করেছে। যাঁরা পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের স্বাক্ষর রেখেছেন।" উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টদের নাম করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ৷

Last Updated : Jun 28, 2024, 11:05 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.